কলকাতা: আচার্য চাণক্য ছিলেন তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাই ছাত্রদের মনোজগৎ ভালভাবে বুঝতেন তিনি। পড়ুয়াদের জীবন প্রভাবিত করতে পারে এমন ভাল, খারাপ সব কিছুই তিনি গভীরভাবে অধ্যয়ন করেন। তিনি মনে করতেন, ছাত্রছাত্রীদের জীবন অত্যন্ত কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ। এই জীবনটা যদি সাবধানে কাটানো যায় তবে ব্যক্তির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে। যদি ছাত্রজীবন ভালভাবে না কাটে, তবে ব্যক্তির বাকি জীবন সংঘর্ষ ও সঙ্কটে ভরে যায়।


চাণক্য বলতেন, ছাত্রজীবনে ব্যক্তির মস্তিষ্ক অত্যন্ত সক্রিয় থাকে। তাঁর শরীরও শিক্ষালাভের অনুকূল থাকে, কারণ যৌবন ও শিক্ষার্থী জীবন এক সঙ্গে চলতে থাকে। তাই এই সময় তিনি যে দিকে নিজের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ঘোরাতে চান, তা সেদিকে ঘুরে যায়। দেখুন, কী বলেছেন চাণক্য

আলস্য ত্যাগ করা উচিত। বিদ্যার্থীর কাছে আলস্য কোনও রোগের থেকে কম নয়। এই রোগ থেকে ছাত্রছাত্রীদের দূরে থাকা উচিত। আলস্য ছাত্রছাত্রীদের অসাফল্যের দিকে ঠেলে দেয়।

লেখাপড়ার সঙ্গে করুন খেলাধুলো। খেললে মন, মস্তিষ্ক আর শরীর- সব ভাল থাকে। খেলা আমাদের বোঝায় জয় ও পরাজয়ের গুরুত্ব। সাফল্য পেতে কী ধরনের চেষ্টা করতে তা খেলার মাধ্যমে বোঝা যায়। পাশাপাশি অন্যদের সাহায্যের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করে।  বিকশিত হয় মস্তিষ্কও।

প্রতিটি কাজ ঠিক সময়ে করুন। যেভাবে দিন রাতের সময় নির্ধারিত, সেভাবেই বিদ্যার্থীর প্রতিটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ে করা উচিত। সময়ের মূল্য না বুঝলে সাফল্য পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।

লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন। বিদ্যার্থীদের কাছে পরিশ্রমের বিকল্প নেই, কারণ সাফল্য তার সঙ্গে জড়িত। যে পরিশ্রমে ভয় পায়, সাফল্য তার থেকে দূরে থাকেতাই লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে দিনরাত পরিশ্রমের অভ্যেস করুন। সাফল্যের এটাই একমাত্র মন্ত্র।