নয়াদিল্লি: ছয় দিনে ছয় শিশুর মৃত্যু। দেশে এবার আতঙ্কের নতুন নাম চাঁদিপুরা ভাইরাস (Chandipura Virus)। গত কয়েকদিনের হিসেব অনুযায়ী গুজরাতে ১২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ প্যাটেল। 


আতঙ্কের নতুন নাম চাঁদিপুরা: ১৯৬৫ সালে প্রথমবার মহারাষ্ট্রের চাঁদিপুরা গ্রামে এই ভাইরাসের হদিশ মেলে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে আক্রান্ত ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। মশা, বেলেমাছি থেকে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসের কারণে জ্বর, ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা যায়। মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। গুজরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ছেন, আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে সবরকাঁথায় আক্রান্ত ৪ জন, আরাবল্লিতে ৩ জন, মহিসাগর এবং খেদা জেলা থেকে এক জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আরও দুজন রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। তবে তাঁদের চিকিৎসা চলছে গুজরাতে।                                                   


রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, আশঙ্কার করা হচ্ছে চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই ৬ জনের মৃত্যু বয়েছে। তবে নমুনার বিশ্লেষণের ফলাফলের হাতে এলে পরিষ্কার হবে মৃত্যুর নেপথ্যে চান্দিপুরা ভাইরাস আছে কি না। হিমতনগর সিভিল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ১০ জুলাই যে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তার কারণ ওই ভাইরাস। ওই একই উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ শিশু ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত ৬ শিশুর মধ্যে ৫ জনই চিকিৎসাধী ছিল হিমতনগর সিভিল হাসপাতালে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ভাইরাস ছোঁয়াচে নয়। যেসব জায়গা থেকে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে, সেই সব জায়গায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। রাজ্যের ৪ হাজারের বেশি বাড়িতে প্রায় ১৮.৬৪৬ জনকে স্ক্রিন করা হয়েছে। গুজরাট স্বাস্থ্য বিভাগ এই রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।                       


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Doda Encounter: কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই, শহিদ সেনা আধিকারিক সহ ৫ সেনা জওয়ান