হুগলি: এবিপি আনন্দের খবরের জের, টাকা ফেরাল অ্যাম্বুল্যান্স। কোন্নগরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই রোগীর পরিবার টাকা ফেরৎ পেয়েছে। বাড়তি ২০ হাজার টাকা ফেরালেন অ্যাম্বুল্যান্সের মালিক। এদিন চন্দননগর ফাঁড়িতে এসে রোগীর পরিবারকে টাকা ফিরিয়ে দিয়ে যান অ্যাম্বুল্যান্সের অভিযুক্ত মালিক।


পাশাপাশি, করোনা আক্রান্ত ওই রোগীর চিকিৎসা নিয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর। চিকিৎসায় যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার নির্দেশ এসেছে। 


করোনা আবহে একের পর এক হয়রানির ছবি। শুক্রবারই অ্যাম্বুলেন্সের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠে হুগলির কোন্নগরে। জানা যায়, মাত্র  ৬ ঘণ্টার জন্য ৩৩ হাজার টাকা ভাড়া নিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। স্বামী অসুস্থ তাই ভাড়া মেটাতে বাধ্য হয়ে গয়না বন্ধক দিতে হয়েছে বলে দাবি করেন কোন্নগরের এক মহিলা। স্বামীকে নিয়ে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরলেও বেড মেলেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 


উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মেহতাব আলম আনসারি বুধবার করোনা আক্রান্ত হন। সেদিনই তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে পরিবার। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকায় স্বামীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তনুশ্রী মজুমদার। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু ভোগান্তির। 


ওই মহিলার দাবি, ৭ ঘণ্টা ধরে কলকাতার ৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরেও মেলেনি বেড। অভিযোগ, প্রথমে ১৩ হাজার টাকা চাওয়া হলেও, শেষ পর্যন্ত তাঁর থেকে ৩৩ হাজার টাকা দাবি করেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। ভাড়া না মেটালে হাসপাতালে ওই বধূর স্বামীকে নামাতেও চালক অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। রোগীর স্ত্রী জানান, শেষপর্যন্ত গয়না বন্ধক রেখে ভাড়া মেটান তিনি।


অ্যাম্বুলেন্সের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট চালকের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখছেন। এরপরই এই খবর সম্প্রচার করে এবিপি আনন্দ। তার জেরই তৎপর হয় প্রশাসন। খবর পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। তাঁর হস্তক্ষেপেই টাকা ফেরৎ পায় অসহায় পরিবার।