নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে সীমান্ত (India China Border Dispute) সঙ্ঘাতে অস্বস্তি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পূর্ব লাদাখে (Ladakh), প্যাংগং সো হ্রদের (Pangong Tso Lake) উপর ড্রাগন সেতু নির্মাণ করছে বলে এ বার ছবি সামনে আনলেন উপমহাদেশীয় কূটনীতি বিশেষজ্ঞ ডেমিয়েন সাইমন। কৃত্রিম উপগ্রহ (Satelite Images) থেকে তোলা ছবি সামনে এনেছেন তিনি। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। তা সম্পূর্ণ হলে, সেতুটি প্যাংগং সো হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরকে সংযুক্ত করবে।
নিজের এলাকাতাই চিন (People's Liberation Army/PLA) ওই সেতু নির্মাণ করছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control/LAC) বলে যেটিকে দাবি করে ভারত, তার থেকে ওই সেতুর দূরত্ব মাত্র কয়েক মিটার। সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে ভারতের বিরুদ্ধে সেনা এবং যুদ্ধসরঞ্জাম জড়ো করতে চিন আরও সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে যাবে বলে মত কূটনীতিকদের। একই সঙ্গে প্যাংগংয়ের দুই তীরেই তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ আরও প্রশস্ত হবে।
এখনও পর্যন্ত কূটৈনৈতিক সূত্রে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা অনুযায়ী, প্যাংগংয়ের উত্তর তীরের ফিঙ্গার ৮ থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। চিনা বাহিনী যেখানে শিবির গড়ে রয়েছে, সেই রুতং কাউন্টির খুরনাক ফোর্টের পূর্বে রয়েছে সেতুটি। ২০২০-র মে মাসে থেকে ভারত-চিন সংঘাত যত তীব্র হয়েছে, ততই ওই এলাকায় পরিকাঠামোয় জোর দিয়েছে চিন। নয়া নির্মীয়মান সেতুটি ছাড়াও সেখানে রাস্তা, বিমান অবতরণ ক্ষেত্র গড়ে তুলেছে তারা।
আরও পড়ুন: Mumbai-Goa Cruise Ship: ফের খবরে গোয়াগামী সেই কর্ডেলিয়া ক্রুজ, করোনায় আক্রান্ত ৬৬ যাত্রী
টানটান উত্তেজনার মধ্যেই গত বছর লাদাখে কৈলাস পর্বতের মূল শৃঙ্গটি দখল করে ভারতী নয়া সেতুর নির্মাণ শেষ করার পথে। এর ফলে পিছু হটার পরিবর্তে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়বে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
২০২০ সাল থেকে পূর্ব লাদাখে ভারত এবং চিন, দুই তরফেই ৫০ হাজার করে সেনা মোতায়েন রয়েছে। দেপসাং, দেমচক-সহ একাধিক জায়গায় কার্যত মুখোমুখি অবস্থান করছে দু’পক্ষ। সেনা তুলে নিতে দফায় দফায় আলোচনাও হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। বরং বিগত কয়েক মাস ধরে অরুণাচলপ্রদেশেও চিনা আগ্রাসন দেখা গিয়েছে। সেখানের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে একাধিক গ্রাম গড়ে তোলা হয়েছে বলে চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে এসেছে।