নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছুঁইছুঁই। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পিছনে যে দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজের তবলিঘি জামাত তার অন্যতম কারণ, তা প্রায় স্পষ্ট। কিন্তু ভয়াবহ এই পরিস্থিতি সামলাতে রাতের ঘুম উড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির।
দিল্লির নিজামউদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আয়োজন করা হয়েছিল কিনা, খতিয়ে দেখতে তদন্তে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। নজর রাখা হচ্ছে ৫টি ট্রেনের যাত্রী তালিকায়।
তদন্তে জানা গেছে, দিল্লির নিজামউদ্দিনে ধর্মীয় সমাবেশে আছে চিন-যোগ! আর চিনই এই নোভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্কের এপিসেন্টার। ধর্মীয় ওই সমাবেসে যোগ দিয়েছিলেন চিনা নাগরিকরাও। সূত্রের খবর এমনটাই।
জানা গেছে, ওই সমাবেশে যোগ দেন ৬৭টি দেশের ২ হাজার ৪১ জন প্রতিনিধি। এদের মধ্যে চিন থেকে এসেছিলেন ৯ জন। বাংলাদেশ থেকে ৪৯৭, ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫৫৩, তাইল্যান্ড থেকে ১৫১, মালয়েশিয়া থেকে ১১৮, কিরকিস্তান থেকে ১৪৫ ও মায়ানমার থেকে ১১৭ জন প্রতিনিধি।
বুধবার দেওয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, ২৩টি রাজ্যের প্রায় ৮৫০ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে সাড়ে তিনশোরও বেশি মানুষের।
দেশের প্রতিটি রাজ্য সরকারই এখন বারবার করে অনুরোধ জানাচ্ছে, যাঁরা ওই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের এগিয়ে আসার জন্য। নাহলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাই সত্যি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।