হেবেই (চিন) : চিনে ভয়াবহ বন্যা (China Floods) পরিস্থিতি। ২৯ জনের মৃত্যু। নিখোঁজ ১৬ জন। চিনের হেবেই প্রদেশে বন্যার জেরে এলাকায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে খবর দ্য গ্লোবাল টাইমস সূত্রে। বন্যা মোকাবিলার কাজ চলাকালীন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন এবং বন্যায় যাঁরা মৃত তাঁদের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন হেবেই প্রদেশের প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
হেবেই প্রদেশের এক্সিকিউটিভ ভাইস গভর্নর ঝ্যাং চেংহঙ্গ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে এই এলাকায়। যা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়। এর জেরে এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং কার্যত বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে এবং ত্রাণকাজে ওই এলাকার জন্য ১.৪৬ বিলিয়ন Yuan বরাদ্দ করা হয়েছে চিনের অর্থমন্ত্রক এবং জরুরি অবস্থা মোকাবিলা মন্ত্রকের তরফে। এমনই খবর দ্য গ্লোবাল টাইমস সূত্রের। এই তহবিলের মাধ্যমে বেজিং, তিয়ানজিন, হেবেই, জিলিন ও হেলংজিয়াং প্রদেশ-সহ ৫ প্রদেশে সহায়তা পাঠানো হবে।
এদিকে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে শুরু করায়, আধিকারিকরা সতর্ক রয়েছেন এবং বিপর্যস্তদের রক্ষা করতে দল পাঠানো হয়েছে। ১৭ লক্ষ মানুষকে ওই এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। বিপর্যয় কেটে যাওয়ার পর ওই এলাকায় পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা হবে এবং দুই বছরের মধ্যে পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমন খবর স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারকদের সূত্রে।
বন্যার কবলে পড়ে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চতার মুখে পড়েছে। কিন্তু, সেপ্টেম্বরের আগেই তাদের যাতে স্কুলের চৌহদ্দিতে ফিরিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টা করছে প্রশাসন। অন্যদিকে শীতকালের আগেই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে তাদের নিজেদের বাড়িতে বা নতুন বাড়িতে স্থানান্তিরত করা যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৪-এর বন্যা মরসুম শেষ হওয়ার আগেই পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে। আর যাবতীয় পুনর্গঠনের কাজ যাতে ২০২৫-এর বন্যা-মরসুমের আগে শেষ করে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। এমনই খবর দ্য গ্লোবাল টাইমস সূত্রের।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ হাজার ২৩৭টি ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাকে পুনরায় যাতায়াতের যোগ্য করে তোলা হয়েছে। বন্যার জেরে ১,৭২৩১০ কিলোভোল্টের বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে যায় । যার মধ্যে ১ হাজার ৬৩১ কিলোভোল্ট পুনরুদ্ধার করা গেছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন