গুয়াংঝোউ:  করোনাভাইরাসের ঢেউ সামলে নেওয়ার পর চিনে ফের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই কারণে চিনের দক্ষিণের শহরে গুয়াংঝাউতে আংশিক লকডাউন জারি হল। চিনের সরকার ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাসিন্দাদের বাড়িতেই থাকতে বলেছে। সেইসঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে।


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২১ মে থেকে গতকাল রবিবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত পাঁচ জনের করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সেইসঙ্গে হদিশ পাওয়া গিয়েছে পাঁচ উপসর্গহীন আক্রান্তর। প্রত্যেক সংক্রমণ করোনা ভ্যারিয়েন্টের। শহরের স্বাস্থ্য কমিশনকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে চিনের সেন্ট্রাল টেলিভিশন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই এলাকার সমস্ত বাজার, স্কুল ও বিনোদনকেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


শহরের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ গণ করোনা পরীক্ষা অভিযান শুরু করেছে। করোনা প্রথমবার শহরে ছড়িয়ে পড়ার অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এবার সংক্রমণ রুখতে এভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন।


লিওয়ান জেলায় বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাওয়া-দাওয়ার সামগ্রী ক্রয় ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো যাবে না।


গুয়াংঝাউ হংকংয়ের উত্তরে ব্যবসায়িক ও শিল্প কেন্দ্র। এখানে প্রায় দেড় কোটি বাসিন্দা রয়েছে। গত সপ্তাহে  এখানে ২০ জনের শরীরে করোনা সংক্রম ধরা পড়েছে। জনসংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা খুব সামান্য হলেও কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ স্থানীয় প্রশাসন। চিনের কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু ফের নতুন করে কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ায় শুরুতেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হেঁটেছে তারা।স্বাস্থ্য কমিশনের বক্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভাইরাসের এই সংক্রমণ খুব দ্রুত ও শক্তিশালী।


উল্লেখ্য, গুয়াংঝাউতে যে সংক্রমণগুলি রয়েছে, সেগুলির সঙ্গে যোগ রয়েছে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধার। গত ২১ মে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সরকারি সংবাদমাধ্যমে এমনই জানান হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই তাঁর সঙ্গে নৈশভোজ সেরেছিলেন বা একসঙ্গে থাকেন।