বেজিং: নতুন করে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। তাতে আরোপিত হচ্ছে কড়া বিধি নিষেধ (COVID in China)। বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ হচ্ছে যেমন, বন্ধ হচ্ছে রোজগারপাতিও। তাই সরকারি বিধি-নিষেধে বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ দানা বাঁধছিল। সেই বিক্ষোভ এ বার সার্বিক আকার ধারণ করার পথে চিনে। বিদেশি টিকার প্রতি চিন সরকারের অনীহায় অসন্তুষ্ট দেশের মানুষ। প্রেসিডেন্ড শি চিনপিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই সরাসরি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নাগরিকরা (COVID Vaccines)।
কড়া বিধি-নিষেধে স্তব্ধ হয়ে পড়ছে জনজীবন, তাতেই বাড়ছে ক্ষোভ
তিন বছর আগে খাতায়-কলমে চিনেই প্রথম নোভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। গোটা বিশ্বে নেমে আসে অতিমারির প্রকোপ। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় সব দেশের মধ্যে টিকার আদান-প্রদান চললেও, দেশের নাগরিকদের কোনও বিদেশি টিকা নেওয়ায় অনুমোদন দেয়নি চিন সরকার। বরং ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি টিকার উপরই ভরসা রেখেছে তারা।
আরও পড়ুন: Yudh Abhyas: বন্দুক চালানো হাতে গিটারের ঝঙ্কার, যুদ্ধের মহড়ার মাঝেই হিমালয়ের কোলে রক কনসার্ট সেনার
কিন্তু সম্প্রতি নতুন করে যে ভাবে লাগাতার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে ওই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চিনা নাগরিকরাই। সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলে বিদেশি টিকা ব্য়বহারেও অনুমোদন প্রয়োজন বলে মত তাঁদের। তাঁদের দাবি, বার বাপ লকডাউন ঘোষণা করে, বিধি-নিষেধ আরোপ করে জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়ার পরিবর্তে, বিদেশি টিকায় অনুমোদন দেওয়া শ্রেয়। সেই দাবি নিয়ে সরকারের উপর চাপসৃষ্টি করার পক্ষে তাঁরা। তাতেই বিক্ষোভ সার্বিক আকার ধারণ করছে।
চিনে সরকারের বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ
চিনা প্রেসিডেন্ট চিনপিং পশ্চিমি টিকায় অনুমোদনে নারাজ বলে দাবি আমেরিকার ন্য়াশনাল ইনটেলিজেন্স সংস্থার ডিরেক্টর আভরিল হাইন্সের। শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় বার্ষিক রিগান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরামে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "পশ্চিমি দেশ থেকে উন্নত মানের চিকি নিতে নারাজ চিনপিং। বরং ঘরোয়া টিকাকেই ভরসা করছেন তিনি। যদিও করোনার ওমিক্রন রূপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চিনা চিকা ততটাও কার্যকরী নয়।" এতে নাগরিকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হলেও, তাতে রাজনৈতিক সঙ্কটের কোনও সম্ভাবনা নেই, বরং চিনপিংয়ের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি এর উপর নির্ভর করছে বলেও জানান হাইন্স।