কলকাতা: বহু বিশেষজ্ঞের মতে, চিনে করোনা দেখা দেওয়ার প্রধান কারণ, সেখানকার বাসিন্দাদের খাদ্যাভ্যাস। যেভাবে তাঁরা প্যাঙ্গোলিন, বাদুড়, সাপ, ব্যাঙের মত জীবজন্তু খান, অনেক সময় কাঁচাই খান, সে জন্য দেখা দিয়েছে এই মারণ ব্যাধি। এমন অদ্ভুতভাবে এমন সব জীবজন্তু খান তাঁরা, যা শুনলে হজম করা কঠিন। এই সব খেতে চিকিৎসকরা বারবার বারণ করেছেন, বিষক্রিয়ায় তাঁরা প্রাণও হারান নিয়মিত কিন্তু কে শোনে কার কথা!

চিনের এই বাসিন্দা যেমন। ৫৫ বছরের ভদ্রলোকটি লোভে পড়ে রান্না হওয়ার আগেই কোনও একটা মাছ খেয়ে ফেলেছিলেন। তাতে তাঁর যকৃতের অর্ধেকটা কুরে কুরে খেয়েছে মাছের ভেতরে থাকা এক শ্রেণির পরজীবী কৃমি। মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সেই কৃমি শয়ে শয়ে ডিম পেড়েছে তাঁর যকৃতে।

চিনের হাংঝুতে ঘটেছে এই ঘটনা। ক্ষিদে না থাকা, পেটের গোলমাল, ক্লান্তি ও তলপেটে ব্যথার কারণে ওই ব্যক্তি হাংঝু ফার্স্ট পিপলস হাসপাতালে যান। জানা যায়, ৪ মাস ধরে এই সব সমস্যায় ভুগছেন তিনি। স্ক্যান করে হতবাক চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর যকৃতের বাঁ দিকে একটি ১৯ সেন্টিমিটার লম্বা, ১৮ সেন্টিমিটার চওড়া পুঁজ ভর্তি থলি রয়েছে। সেই থলির গায়ে গজিয়ে উঠেছে একাধিক টিউমার। একাধিক রাউন্ড পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ক্লোনোরসিয়াসিস হয়েছে, এক ধরনের সংক্রমণ যা ঘটে পরজীবী কৃমি থেকে।

ওই ব্যক্তির যকৃৎ বাঁচাতে চিকিৎসকরা পুঁজ ভর্তি থলির রস বার করেছেন, তাতে তার আকার অর্ধেক হয়েছে। কিন্তু টিউমারগুলি একই রকম থাকায় চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে যকৃতের সংক্রমিত অংশ কেটে বাদ দিয়েছেন। তারপর দেখেন, মৃত টিস্যুর মধ্যে অগুন্তি লাইট বাল্বের মত ডিম রয়েছে।