কলকাতা : এক মাস পিছিয়ে গেল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলার শুনানি। কোনও আইনজীবী সওয়ালের জন্য উপস্থিত না হওয়ায় পিছিয়ে গেল শুনানি। পরবর্তী শুনানি আগামী ২ জানুয়ারি। ফলে অন্তত আরও ১ মাস ইসকনের সন্ন্যাসীকে থাকতে হবে জেলেই। তারপর ২ জানুয়ারি তাঁর হয়ে সওয়াল করতে কেউ হাজির হন কি না সেটাই দেখার।
আরও একমাস জেলেই বন্দি থাকতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণকে। এর ফলে চিন্ময়কৃষ্ণর মানবাধিকার লঙ্ঘন হল, মনে করছেন সনাতনীরা। শুনানির আগের দিন চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবী রমেন রায়ের উপর হামলা হয়। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবী এখন ICU-তে ভর্তি। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তিনি ছাড়াও আর যাঁরা আগের বার সন্ন্যাসীর জামিনের আর্জি নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন গত সপ্তাহে তাঁরা কেউই আসলেন না আদালতে।
ইসকন ও সংখ্যালঘু হিন্দু নাগরিকদের ধারণা, সন্ত্রাসের ভয়েই কোনও আইনজীবী লড়তে পারলেন না চিন্ময়কৃষ্ণর হয়ে। সোমবার চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবী রমেন রায়ের ওপর হামলা চালানো হয়। বাড়ি ভাঙচুর করা হয় আইনজীবীর। গুরুতর জখম ওই আইনজীবী ICU-তে ভর্তি রয়েছেন। এদিন চিন্ময়কৃষ্ণর হয়ে লড়ার জন্য বাকি বাকি ৫০ জন আইনজীবীর কেউই হাজির ছিলেন না চট্টগ্রাম আদালতে।
সূত্রের খবর, আতঙ্কে আত্মগোপন করেছেন চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবীরা। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতারির পর সন্ন্যাসীর জামিন আটকাতে এখন মরিয়া বাংলাদেশ সরকার। এর আগে চিন্ময়কৃষ্ণর আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। ফলে তাঁরা প্রত্যেকেই সঙ্কটে। সেই ত্রাস আরও বেড়েছে সোমবার আইনজীবী রমেন রায়ের ওপর হামলার পর থেকে।
কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানালেন, তিনি এই আশঙ্কাই করছেন। কারণ বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব চলছে। চিন্ময়কৃষ্ণর গ্রেফতারির পর আরও ৪ সন্ন্যাসীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা শুধু চিন্ময়কৃষ্ণকে প্রসাদ ও ওষুধ পৌঁছতে গিয়েছিলেন বলেই ইসকন সূত্রে খবর। ভারতে আসার পথে সীমান্তে আটকানো হয়েছে ইসকন ভক্তদের। রাধারমণ দাসের অভিযোগ, 'প্রথম দিন থেকেই চিন্ময়কৃষ্ণকে টার্গেট করছে বাংলাদেশ সরকার। যাঁরা ওঁর পাশে থাকছে, সবাইকে নিশানা করা হচ্ছে।একমাস পরে কেন শুনানির দিন ফেলা হল?' এখন ২ জানুয়ারি সন্ন্যাসীর জামিন-শুনানি হয় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব ।