লখনউ: উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসার পাশাপাশি সংস্কৃত স্কুলগুলিতেও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর পক্ষে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। তিনি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার বিরোধী। হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, দিল্লি ও পঞ্জাব সমেতন ৯টি রাজ্যের সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রীদের সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত বৈঠকে এ কথা বলেন আদিত্যনাথ। সেখানে ছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ড প্রধান ওয়াসিম রিজভি রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি তুলে দেওয়ার দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে লেখা চিঠিতে তাঁর প্রশ্ন, কটা মাদ্রাসা ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, আইএএস তৈরি করেছে? তবে তারা সন্ত্রাসবাদীর জন্ম দিয়েছে বটে। রিজভির বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। জামিয়াত-উলেমা-ই-হিন্দ তাঁকে আইনি নোটিস দেয়, শিয়া ও সুন্নি ধর্মগুরুরা একযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন, এমনকী নিজেকে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গী বলে দাবি করে রিজভি ও তাঁর পরিবারকে বিস্ফোরণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় এক ব্যক্তি। আদিত্যনাথও রিজভির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। আজ ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নয়। বরং আমরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসাগুলির আধুনিকীকরণ করে শিক্ষার গুণমান সমৃদ্ধ করতে পারি। সংস্কৃত স্কুলগুলিরও উচিত প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে পড়ুয়াদের প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার, ইংরেজি, বিজ্ঞান, অঙ্কও শেখানো। তিনি বলেন, যারা 'বিপথে চালিত হচ্ছে', তাদের উদ্দীপনাকে 'দেশ গঠনে' ব্যবহার করা যাচ্ছে না। উন্নত মানের শিক্ষাই সমাধান। আমাদের সরকার কোনওরকম বৈষম্যবর্জিত উন্নয়নে দায়বদ্ধ। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সরকারি কর্মসূচি পালনে স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত হয়েছে বলে দাবি করে আদিত্যনাথ বলেন, আমাদের এমন এক সমাজ গড়ে তোলা উচিত যেখানে কেউই অবহেলিত বোধ করবে না। তিনি তফসিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের লোন দেওয়ার চেয়ে তাঁদের স্কিল, দক্ষতা চিহ্নিত করে তার বিকাশের লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও অভিমত জানান।