নয়াদিল্লি: ‘লোকের ধারণা’, ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্রে (ইভিএম) কলকাঠি নেড়ে ভোটের ফল এদিকওদিক করা সম্ভব, এহেন সওয়াল করে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় আগামীকালের বিধানসভা ভোটের ফলগণনার প্রাক্কালে গণনা কেন্দ্রে ও ভোটযন্ত্র তালাবন্দি করে রাখা স্ট্রংরুম চত্বরে মোবাইল ফোন জ্যামার বসানোর দাবি করল কংগ্রেস। গণতন্ত্রের স্বার্থে ও ভোটপ্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনকে এই দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে তারা। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় গত ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএমগুলি দুই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। কাল সকালে সেগুলি খোলা হবে। কংগ্রেসের আগেই মহারাষ্ট্রে তাদের শরিক এনসিপি ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে ভোটগণনার দিন পর্যন্ত প্রতিটি বুথ, স্ট্রং রুমের তিন কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার দাবি করেছে। তার দুদিন বাদে কংগ্রেস কমিশনকে চিঠি দিল। মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বালাসাহেব থোরাট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশন অফিসারকে চিঠি লিখে বলেন, ইভিএমে কলকাঠি নেড়ে ফল বিকৃত করা যায় বলে মানুষের ধারণা। তাই স্ট্রং রুম ও গণনাকেন্দ্রের আশপাশে মোবাইল জ্যামার বসানো উচিত। জ্যামার থাকলে তার কর্মক্ষমতার সীমার মধ্যে মোবাইল ফোন কাজ করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনকে প্রতি রাউন্ড গণনা শেষে রেজাল্ট শিট ঘোষণা করতেও বলেছেন মহারাষ্ট্রের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। পাশাপাশি এও বলেছেন, ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট)-এর সঙ্গে যাচাই করার জন্য ইভিএম বাছাইয়ের স্বাধীনতাও দেওয়া উচিত প্রার্থীদের। থোরাটের দাবি, কোনও ইভিএম নিয়ে সন্দেহ, সংশয় তৈরি হলেই সেই যন্ত্র অবশ্যই সেই মুহূর্তে চারবার গুনে দেখার অনুমতি দেওয়া হোক। ৫০ শতাংশ ইভিএমই ভিভিপ্যাট স্লিপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হোক, কংগ্রেসের এই দাবিও ফের তুলে ধরেন থোরাট। প্রসঙ্গত, ভিভিপ্যাট যন্ত্র থেকে কোনও ভোটার যে দলকে ভোট দিয়েছেন, তার প্রতীক সহ একটি স্লিপ বেরিয়ে আসে। স্লিপটি তিনি দেখতে পারেন, কিন্তু সেটি একটি বাক্সে পড়ে যায়, তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন না।