তিরুঅনন্তপুরম : দিল্লি বিস্ফোরণের নৈতিক দায় নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য শাহকে নিশানা করেছেন তিনি।

Continues below advertisement

কংগ্রেস নেতা বলেন, "মুম্বইয়ে যখন বিস্ফোরণ হয়েছিল, যখন UPA ক্ষমতায় ছিল, তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তার নৈতিক দায় নিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বিরোধীরা তাঁর পদত্যাগ চেয়েছিলেন। শাহর যদি কোনও দায়ত্ববোধ থাকে, তাহলে তাঁরও পদত্যাগ করা উচিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবসময় সংসদে মিথ্যা কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর সময়ে কোনও অশান্তি বা বিস্ফোরণ হয়নি। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবসময় সংসদে বলেন, কোনও অশান্তি, কোনও বিস্ফোরণ হয়নি, সবসময় মিথ্যা বলেন। এখন ওঁর চোখের সামনেই, একেবারে ওঁর অফিসের কাছেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। সরকারের পরিষ্কার তদন্ত করা উচিত। প্রকৃত কারণটা দেশকে জানানো উচিত।"  

দেশের রাজধানী। নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ। যার মাথায় খোদ অমিত শাহ। দিল্লি পুলিশ থেকে, সেন্ট্রাল আইবি, NIA, দেশের অভ্য়ন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সিরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ। তারপরও কেন ঠেকানো গেল না সোমবারের ঘটনা? কোথাও কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা ? দেশের রাজধানী রক্তাক্ত হল ! চলে গেল বারো জনের প্রাণ। হাই সিকিওরিটি জোনে বিনা বাধায় ঢুকে গেল বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি। হরিয়ানার ফরিদাবাদে সন্ত্রাসবাদীদের সেলের পর্দাফাঁস হল। জঙ্গি যোগে দুই চিকিৎসক গ্রেফতারও হল। অথচ তাদেরই আরেক সঙ্গী সহজেই বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে দিল্লিতে একেবারে লালকেল্লার কাছে পৌঁছে গেল। দিল্লির নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ। যার মাথায় খোদ অমিত শাহ। দিল্লি পুলিশ থেকে আইবি, এনআইএ - দেশের অভ্য়ন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সিরা সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ। আর তাই খোদ রাজধানীর বুকে এত বড় বিস্ফোরণের পর গোয়েন্দা ব্য়র্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রাক্তন DIG, BSF সমীর মিত্র বলছেন, "নিশ্চিত ভাবে গোয়েন্দা ব্যর্থতা। যারা ডিউটি করছিলেন, তাঁরা কি জানতেন না, একজন গাড়িতে করে বিস্ফোরক নিয়ে এতটা ঘুরে বেরালো..।"

Continues below advertisement

মুম্বই বিস্ফোরণের স্মৃতি উস্কে দিয়ে দিল্লির বুকে 10/11 প্রশ্ন তুলে দিল, দেশের রাজধানী সুরক্ষিত না হলে, অন্য়ান্য় জায়গার কী অবস্থা ? উরি-পাঠানকোট-পুলওয়ামা-পহেলগাঁও - একের পর এক জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হচ্ছে দেশ। এর শেষ কোথায় ? কীভাবে ? কীভাবে জঙ্গিদের চিরতরে শেষ করা যাবে ? আর কত নিরীহ দেশবাসীর রক্ত ঝরবে ?