মহারাষ্ট্র বিজেপি সম্প্রতি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ইস্তাহার বের করে দাবি করে, বীর সাভারকরকেও, জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রীভাই ফুলের মতো সমাজসংস্কারকদের পাশাপাশি সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়া হোক। সাভারকরকে অতীতেও এই খেতাব দেওয়ার দাবি উঠেছে। তবে ভোটের ইস্তাহারে দাবিটা তুলে এনে তাতে রাজনৈতিক মাত্রা দিয়েছে বিজেপি। দুদিন আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছেন, সাভারকরজির প্রসঙ্গে আপনাদের স্মরণে থাকতে পারে যে, ইন্দিরাজি তাঁর স্মৃতিতে ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিলেন। সুতরাং আমরা সাভারকরজির বিরোধী নই। সাভারকরজি যে হিন্দুত্ব দর্শনের পক্ষে ছিলেন, পৃষ্ঠপোষকতা করতেন, তা সমর্থন করি না আমরা। তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়ার বিষয়টি সরকারের কাছে রেফার করা প্রসঙ্গে বলতে চাই, যে কমিটি এসব বিষয় বিবেচনা করে, তাদের সামনে প্রসঙ্গটি উঠলে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। বিরোধী শিবিরের একাধিক দল অবশ্য সাভারকরকে ভারতরত্ন অর্পণের দাবির তীব্র নিন্দা করেছে। কংগ্রেস স্পষ্ট বলেছে, সাভারকরকে মহাত্মা গাঁধী খুনে ফৌজদারি বিচারের মুখে পড়তে হয়েছিল, যদিও তিনি অব্যাহতি পেয়েছিলেন পরে। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন, দলিত অধিকারের পক্ষে লড়েছেন, জেলে গিয়েছেন, সাভারকরকে নিয়ে ট্যুইট অভিষেক মনু সিংভির
Web Desk, ABP Ananda | 21 Oct 2019 06:31 PM (IST)
মহারাষ্ট্র বিজেপি সম্প্রতি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ইস্তাহার বের করে দাবি করে, বীর সাভারকরকেও, জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রীভাই ফুলের মতো সমাজসংস্কারকদের পাশাপাশি সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়া হোক। সাভারকরকে অতীতেও এই খেতাব দেওয়ার দাবি উঠেছে।
নয়াদিল্লি: বি ডি সাভারকরকে নিয়ে ভিন্ন সুর কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভির। বিজেপির মহারাষ্ট্র শাখা দলীয় নির্বাচনী ইস্তাহারে হিন্দুত্ববাদী তাত্ত্বিক সাভারকরকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তার মধ্যেই সিংভির বক্তব্য, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সাভারকরের দর্শন সমর্থন করেন না, তবে তাঁকে একজন ‘মার্জিত’, ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ মানুষ’ বলে মনে করেন, যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন, দলিত অধিকারের পক্ষে লড়েছেন, জেলে গিয়েছেন। রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ‘নেভার ফরগেট’ হ্যাশট্যাগ সহ ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সাভারকরকে। লিখেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে সাভারকরের আদর্শ অনুমোদন করি না, কিন্তু তাতে এটা মিথ্যা হয়ে যায় না যে, তিনি ছিলেন এক সফল মানুষ যিনি স্বাধীনতার লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন, দলিত অধিকারের পক্ষে লড়েছেন, দেশের জন্য জেল খেটেছেন।