তবে গোমাতা যদি হঠাৎ রুষ্ট হয়ে তেড়ে আসেন, তাই তাঁর গলার দড়ি শক্ত করে ধরে রেখেছেন খাটাল মালিক। ধূপের গোছা জ্বালিয়ে, ঘণ্টা বাজিয়ে চলছে অর্চনা। নারায়ণবাবুর দৃঢ় বিশ্বাস, নাছোড়বান্দা করোনাকে রুখে দিতে পারে একজনই, তা হল গোমূত্র। তাঁর কথায়, বিজেপি মানুষকে ভালবাসে, তাই এই গোমাতার পুজো। গরু আমাদের কাছে ভগবান। সেই ভগবানের মূত্র খাচ্ছি, এতেও করোনা না সেরে পারে!
শুধু ফুল, ঘণ্টা, ধূপ ধুনোই নয়, ল্যামিনেট করা পোস্টারও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে খাটালে। তাতে লেখা, গোমাতা, করোনা থেকে বাঁচাও, আশীর্বাদ কর। খাটাল মালিক জানাচ্ছেন, বহু মানুষ গোমূত্র নিয়ে যান, অসুখ বিসুখে কাজে লাগে, লাগে পুজো আচ্চায়। পুজোর পর নারায়ণবাবু হাতে হাতে ঢেলে দিলেন গোমূত্র, চরণামৃতের মত। নিজেও খেয়ে নিলেন ঢক করে। তাঁর সঙ্গে বিজেপির এক মহিলা নেত্রী, গোমূত্র সেবনের পর তিনি বললেন, গরুর মধ্যে ৩৩ কোটি ভগবান আছেন তো, তাই আমরা নিয়মিত গোমূত্র খাই।
এরপর প্রসাদ বিলি। তবে শুধু গোমূত্রে যদি চিঁড়ে না ভেজে, তাই সঙ্গে রয়েছে লাড্ডু প্রসাদ। গোমূত্র বাদ দিয়ে শুধু লাড্ডু চাইলে হবে না, ওটা খেলে তবেই মিলবে লাড্ডু। অনেকেই খেলেন, বললেন, করোনার ওষুধ বার হয়নি, খেয়ে দেখি। ফল ভাল হলে বাড়ির লোককেও খাওয়াব। পুলিশ কনস্টেবলও বাদ গেলেন না। হাত পেতে গোমূত্র নিয়ে দিব্যি খেয়ে ফেললেন এক চুমুকে।