পশ্চিম মেদিনীপুর: পোলট্রি ফার্মে ঠাঁই হল করোনা আক্রান্তের! এমনই হতবাক করা ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার মৈশামুড়া গ্রামে।
শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। কিন্তু আক্রান্তকে নিতে অ্যাম্বুল্যান্স এল ১৫ ঘণ্টা পর। রাত থেকে সকাল-- মুরগির খামারেই কাটাতে হল পরিযায়ী শ্রমিককে।
পরিবার সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন বছর ২৪-এর তরুণ। ৩ দিন আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। করোনা টেস্টের জন্য ওই দিনই বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নমুনা দেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। এরপর আতঙ্কে আর তাঁকে ঘরে রাখার ঝুঁকি নেননি বাড়ির লোক। রাতেই খালি মুরগির খামারে পাঠানো হয় ঘরের ছেলেকে।
রাত পেরিয়ে ভোর। সকাল গড়িয়ে বেলা। অ্যাম্বুল্যান্স না আসায়, হাস-মুরগির জায়গাতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয় তরুণকে।
আক্রান্তের এক আত্মীয় বলেন, আতঙ্কে রয়েছি। ১২-১৩ ঘণ্টা হয়ে গেল অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। মুরগির পোলট্রিতে রেখেছি, স্বাস্থ্য দফতর জানে।
অবশেষে ১৫ ঘণ্টা পোলট্রিতে কাটানোর পর, শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ করোনা আক্রান্তকে নিতে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠায় স্বাস্থ্য দফতর।
অ্যাম্বুল্যান্স দেরীতে আসা প্রসঙ্গে বেলদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মণ্ডল বলেন, আমাদের একটিমাত্র অ্যাম্বুল্যান্স বিডিও অফিসকে দিয়েছি, তার চালক করোনা আক্রান্ত। তাই ১০২-কে ডেকে পাঠিয়েছি।
তাঁর আরও দাবি, আক্রান্ত পোলট্রিতে রয়েছেন, তা তিনি আশাকর্মী মারফৎ জানতে পারেন। বলেন, প্রথমে পরিবার বলেছিল ভাল জায়গায় রাখবে, পরে আশাকর্মী মারফৎ জানতে পারি পোলট্রিতে রাখা হয়েছিল, পরে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাই।
আপাতত খড়গপুরে সেফ হোমে রাখা হয়েছে বেলদার এই করোনা আক্রান্তকে।