নয়াদিল্লি: কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনের টিকার প্রভাব কার্যকর থাকতে পারে ন’মাস থেকে এক বছর, এমনই দাবি করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস বা এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তবে গুলেরিয়ার মতে, করোনা খুব সহজে যাবে না। বরং এটা স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হয়তো সাধারণ একটা রোগ হিসেবে থেকে যাবে। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে গুলেরিয়া বলেন, করোনার টিকা এলে তা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে দেবে। সেই কারণে এর প্রকোপ কমে যাবে জনসমাজে। জনসংখ্যার একটা বড় অংশের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে টিকা। ফলে ২০২৩ সালের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার আরও কমে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
তবে ২০২৩ সালে হু কেন এই অতিমারি সমাপ্তির কথা ঘোষণা করতে পারে, এই প্রশ্নের জবাবে গুলেরিয়ার দাবি, অতিমারির মতো ভয়াবহ আকার ছেড়ে হয়তো একটি সাধারণ রোগে পরিণত হবে কোভিড-১৯। তাঁর মতে, কোভিড সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে হাতিয়ার হয়ে উঠবে এর টিকা। জনসংখ্যার একটা বড় অংশের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও সাহায্য করবে এটি। ফলে ২০২৩ সালের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার আরও কমে যাবে বলে মনে করছেন এমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
এদিকে, মার্কিন সংস্থা ফাইজারের তৈরি টিকা হয়তো ভারতে আমদানি করার প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তাঁর মতে, যে পাঁচটি টিকার গবেষণা ও উৎপাদনের কাজ ভারতে চলছে, তাতেই কাজ হয়ে যাবে। এদিকে গুলেরিয়ার লেখা বই ‘টিল উই উইন’-এর সহলেখক গগনদীপ কাংয়ের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও যথেষ্ট সময় লাগবে। তাঁর কথায়, আমরা আগের মতো অর্থাৎ ২০১৯-এর অবস্থা আর ফিরে পাব না।
প্রসঙ্গত, পাঁচটি কোভিড ভ্যাকসিন দেশের বাজারে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, যা তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউ। এছাড়া ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাকসিন, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকোভ ডি, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি এবং হায়দরাবাদের একটি ওষুধ সংস্থার তৈরি বায়োলজিকাল ই-র মতো ভ্যাকসিন যে কোনও দিন তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।আর সামান্য কয়েক মাস টিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।