হায়দরাবাদ: কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের পর এবার করোনা মোকাবিলায় আরেক অস্ত্র স্পুটনিক ভি। রাশিয়া থেকে দ্বিতীয় দফায় ভারতে ঢুকল স্পুটনিক ভি। রবিবার হায়দরাবাদে পৌঁছে গিয়েছে ভ্যাকসিন। কিছুদিন আগেই প্রথম দফার টিকা এসে পৌঁছেছিল। হায়দরাবাদে টিকারকরণও শুরু হয়েছিল। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই ভ্যাকসিন বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করে সার্বিক টিকাকরণ শুরু হবে বলেই আশা করছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলে কুদাশেভ জানিয়েছেন ভারতের জন্য বছরে ৮৫ কোটি টিকা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ময়দানে নামছেন তাঁরা। আগামী দিনে এই উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। করোনা আবহে দেশে কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের অভাব নিয়ে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ উঠেছে। এই আকালের মধ্যে রুশ টিকার জোগান কিছুটা হলেও স্বস্তি জাগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, 'ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হবে। ভারতের জন্য বার্ষিক ৮৫ কোটি টিকা তৈরির লক্ষ্য রয়েছে। খুব শীঘ্রই স্পুটনিক ভি-র একটি করে টিকা বাজারে মিলবে।'
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল থেকে হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি দেওয়ার কাজ। সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিস আগেই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরিস জানায়, আজ হায়দরাবাদে প্রথম দফায় স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা উল্লেখ করেছে, ৫ শতাংশ জিএসটি-সহ আপাতত স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের দাম ধার্য হয়েছে ৯৪৮ টাকা।
জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে ভারতেই শুরু হবে ‘স্পুটনিক ভি’-র উৎপাদন। এর মাঝেই হু এবং এফডিএ অনুমোদিত অন্যান্য ভ্যাকসিন আমদানিতেও সম্মতি দিয়েছে ভারত। যার ফলে ফাইজার, মর্ডানা, জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো সংস্থার বানানো টিকা ভারতের আনার ক্ষেত্রে সমস্যা মিটবে। যে পরিস্থিতিতে দেশে চলতে থাকা ভ্যাকসিন ভোগান্তি মিটবে বলেই আশা করা যায়।