কলকাতা: তৃতীয় দফা টিকাকরণ শুরুর আগেই একাধিক হাসপাতালে ভ্যাকসিনের আকাল। সল্টলেক আমরি থেকে বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোর। একই চিত্র সব জায়গায়। এদিন সল্টলেক আমরিতে ভোর থেকে অপেক্ষার পর চূড়ান্ত হয়রানি হয় সাধারণ মানুষের। কবে মিলবে ভ্যাকসিন, জানাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।


একই অবস্থা বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরেও। কাল থেকে দেশ জুড়ে আঠারোর্ধ্বদের টিকার ঘোষণা কেন্দ্রের। কিন্তু কীভাবে সামলানো যাবে চাহিদা? দুশ্চিন্তায় সেন্ট্রাল স্টোরের কর্মীরা।


আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই আবহে তুঙ্গে ভ্যাকসিনের চাহিদা। চলতি মাসে ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ। ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার আগে শহরে ভ্যাকসিন অমিলের ছবি।


সকাল থেকে লম্বা লাইন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মিলছে না ভ্যাকসিন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ এমনটাই। ভোর থেকে অপেক্ষার পর চূড়ান্ত হয়রানি সাধারণ মানুষের। কবে মিলবে ভ্যাকসিন, জানাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে এদিন ভ্যাকসিন নিতে হাজির হন অনন্ত চারশো থেকে পাঁচশো জন। এরপর ভ্যাকসিন নেই বলে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে লেখা, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত টিকাকরণ বন্ধ থাকল। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, স্বাস্থ্য দফতর জানে, আমরা কিছু বলতে পারব না। 


এদিন সল্টলেক আমরিতে ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন কেষ্টপুরের বাসিন্দা সন্দীপ মণ্ডল। ভ্যাকসিন নিতে এসেও ফিরে যেতে হল তাঁকে। ওই ব্যক্তির কথায়, আমরিতে আসার আগে আরও একটা টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানেও একই হাল। এরপর সল্টলেকের আরও এক বেসরকরি হাসপাতালে টিকার খোঁজে যাবেন বলে জানান। এমনকী ভ্যাকসিনের আকাল বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরেও।


এদিকে কেন্দ্রের কাছে আরও ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছে রাজ্য। দেড় কোটি রাজ্যবাসীর জন্য ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়ে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারি হাসপাতালের জন্য ২ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন। বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ১ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন। অন্যদিকে, ভ্যাকসিন নিয়ে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় পুলিশকে চিঠি স্বাস্থ্য দফতরের। ভ্যাকসিনের সঙ্কটে বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কায় চিঠি স্বাস্থ্য দফতরের।