নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে স্যানিটাইজার ও মাস্কের জন্য হাহাকার। বাজারে অমিল এন-৯৫ মাস্ক। সাধারণ মাস্কও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। কালোবাজারি রুখতে পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্যানিটাইজার ও মাস্ক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে সতর্ক করা হল।
গত ১৩ মার্চ, সরকার স্যানিটাইজার ও মাস্ক-কে আগামী ১০০ দিনের জন্য অত্যাবশ্যক পণ্য বলে ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে বাজারে যোগান বাড়ানোর দিকে নজর দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ধরনের জিনিসের কালোবাজারি রুখতেও তৎপর হতে বলা হল সংস্থাগুলিকে। কিন্তু সেই অনুসারে মাস্ক-স্যানিটাইজার-গ্লাভস প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির তরফে সাড়া খুব কম মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রের। অনেক সংস্থাই এখনও প্রয়োজনীয় তথ্য জমা করেনি। ১৮ মার্চ সন্ধে ৬টার মধ্যে জমা করতে হবে এই সংক্রান্ত তথ্য, নইলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, ১৯৫৫ অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছে রাসায়নিক ও সার মন্ত্রক।
এর মধ্যে রাজ্যেও বিভিন্ন জায়গায় চলছে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের কালোবাজারি রুখতে হানা। মাস্কের কালোবাজারি রুখতে শেওড়াফুলির বিভিন্ন দোকানে হানা চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশের। ছিলেন বৈদ্যবাটি পুরসভার কাউন্সিলররা। বেশ কয়েকটি দোকানে চড়া দামে মাস্ক বিক্রি হচ্ছিল। পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে দেয়।
আলিপুরদুয়ারে কিছু দোকানে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নির্দিষ্ট দামে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করতে ওষুধের দোকানগুলিকে নির্দেশিকা জেলা পুলিশের। জয়গাঁতে ফুটপাতে দেদার বিক্রি হচ্ছে সাধারণ সিন্থেটিক কাপড়ের মাস্ক। মাস্ক না পেয়ে অনেকে মুখে কাপড় বেঁধে চলাফেরা করছেন।
এ পর্যন্ত ভারতে করোনায় মৃত ৩, আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৭। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে ৪১।