নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক।  বিভিন্ন শহরে যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় মোকাবিলার চেষ্টা।  এই পরিস্থিতিতে বিমান ও জাহাজ পরিষেবায় জারি হল আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ।
করোনার ফলে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কমে যাওয়ায়  বিমান পরিষেবা জোর ধাক্কা খেয়েছে।  আয় কমেছে বিমান সংস্থাগুলির।  ফলে, নিজেদের খরচ বাঁচানোর পথ অবলম্বন করতে হচ্ছে সংস্থাগুলিকে। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স তাদের সর্বস্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের বেতন হ্রাস করল।  ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত পদ অনুযায়ী বেতন কমানো হয়েছে।  পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স।
প্রসঙ্গত, গতকালই, বেতন হ্রাসের কথা ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। একই পথে হেঁটেছে আরেক বেসরকারি বিমান সংস্থা গো-এয়ারও। পাশাপাশি, ২১ থেকে ৩০ মার্চ নিজেদের প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বাতিল করছে স্পাইসজেট।
অন্যদিকে, বিমান সংস্থা ভিস্তারা বৃহস্পতিবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাদের সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখছে।  দুবাই, সিঙ্গাপুর, ব্যাঙ্কক, কলম্বো, কাঠমাণ্ডুতে উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখছে ভিস্তারা। গো এয়ার বুধবারই জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা বেতনছাড়া ছুটিতে যেতে পারেন।
জাহাজ চলাচলের ওপরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রক।  ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশ কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, চিন, ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া , ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার ওমান, এবং দুবাই  থেকে আগত পণ্যবাহী জাহাজের ওপর জারি হয়েছে নির্দেশিকা।
বিদেশের বন্দর থেকে রওনা দেওয়ার পর কলকাতা বন্দরে আসার আগে কমপক্ষে ১৪ দিন সমুদ্রে থাকতে হবে ওই সব দেশের জাহাজকে।  যদি কোনও জাহাজ ১৪ দিনের আগে চলে আসে, তাহলে সাগর দ্বীপের কাছে স্যান্ড হেডে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে।  কোনও নাবিক জাহাজ থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নামতে পারবেন না। নামানো যাবে না পণ্যও।
ফলত, ভারতীয় অর্থনীতিতে করোনার-প্রত্যক্ষ প্রভাব যে এবার পড়তে শুরু করেছে, তা বলাই বাহুল্য।