নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ইউরোপীয় ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, তুরস্ক ও ব্রিটেন থেকে ভারতমুখী যাত্রীদের না তুলতে সব বিমানসংস্থাকে আবেদন করল ভারত। ওইসব দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্ত লোকজন ভারতে এসে আরও সংক্রমণ ছড়াতে পারেন, এমন আশঙ্কা গোড়াতেই বিনাশ করতে এই সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির। ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে আসার জন্য যাবতীয় ভিসা বাতিল করা হয়েছে। যার অর্থ, এই দেশগুলিতে বর্তমানে থাকা ভারতীয়রাও দেশে ফিরতে গিয়ে সমস্যায় পড়বেন।
আজ কেন্দ্রের তরফে আরও ঘোষণা করা হয়েছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার, ওমান ও কুয়েত থেকে বা ওইসব দেশ হয়ে যাঁরা ভারতে আসবেন, তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। দুটি সিদ্ধান্তই ১৮ মার্চ মাঝরাত থেকে কার্যকর হবে, বহাল থাকবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ফের বলেছে, প্রকাশ্যে জমায়েত থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। পড়ুয়ারা যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসাও বন্ধ রাখে। সেইমতো মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে। গুজরাত, কেরল, উত্তরাখন্ড, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য যাবতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, আগাম সতর্কতা হিসাবেই ভ্রমণ সংক্রান্ত অ্যাডভাইসরি আরও আঁটোসাটো করা হল। অসামরিক উড়ান সংক্রান্ত ডিরেক্টরেট জেনারেলের আদেশে বলা হয়েছে, কোনও বিমান সংস্থা এইসব দেশ থেকে একজনও ভারতগামী যাত্রীকে তুলবে না। ১৮ মার্চ ভারতীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে তা চালু হবে। যেখান থেকে যাত্রার সূচনা হচ্ছে, সেখানেই বিমান সংস্থাগুলি এই আদেশ কার্যকর করবে।
চিন, ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি থেকে আসা সব যাত্রীকেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ ইতিমধ্যেই কার্যকর করেছে ভারত সরকার।