পুণে: আগামী মাসেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা-ভ্যাকসিনের ২০ থেকে ৩০ লক্ষ ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সংস্থা সূত্রে।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের যা "চাদোক্স ১ এনসিওভি-১৯" নামে পরিচিত, প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসাগত প্রয়োগ শেষ হয়েছে। ওই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তরফে গত ২২ তারিখ জানানো হয়েছে, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রথম পর্যায়ের ফলাফল সম্ভবত প্রকাশিত হবে। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের এক কর্তা জানান, প্রথম পর্যায়ের ফলাফল আশাপ্রদ হলে প্রথমে অল্প পরিমাণে ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু হবে। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের ফল আশানুরূপ হলে প্রথমে আমরা ২০-৩০ লক্ষ ডোজ উৎপাদন করব। পরে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া শেষ হলে, তখন বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদন তৈরি হবে।
মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ওই কর্তা জানান, প্রথম পর্যায়ের ফল ভাল হলে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজ একসঙ্গে চলবে। তাঁর আশা, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হবে। এখন ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সেরাম ইনস্টিটিউটের ওই কর্তা জানান, ভাইরাসের মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ যে কার্যকর হবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ। বাঁদরের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নিউমোনিয়া আটকে দিলেও, সংক্রমণ রুখতে পারেনি। যদিও, তাতে আশাহত নন গবেষকরা। সেরাম ইনস্টিটিউটের ওই কর্তা জানান, বাঁদরগুলির ওপর অত্যাধিক মাত্রায় ভাইরাসের ডোজ দেওয়া হয়। সেখানে ভ্যাকসিনের একটিমাত্র ডোজ ব্যবহার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল অক্সফোর্ডের তরফে জানানো হয় যে, করোনা অতিমারীর সময়, এই ভ্যাকসিনটিকে অলাভজনক ভাবে বাজারে ছাড়া হবে।