কলকাতা:  পর্যটনে করোনা-কাঁটা! সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যেখানে বন্ধ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনস্থল। তখন উদাসীনতার ছবি দিঘায়। সতর্কতা শিকেয়, ভিড়ে ঠাসা সমুদ্র সৈকত।
প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। সংক্রমণের আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলি।
এই পরিস্থিতিতে সতর্কতার কোনও বালাই নেই দিঘার সমুদ্র সৈকতে! বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পর্যটকরা ভিড় করেছেন সমুদ্রে। সতর্কতার বিষয়ে উদাসীন পর্যটকরা ব্যস্ত সমুদ্র-স্নানে।  পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের দাবি, সমুদ্র স্নানে বাধা না থাকলেও সমস্ত পর্যটকের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
দিঘার সমুদ্রে যখন এই ছবি তখন অন্য ছবি পাহাড়ে।  করোনার প্রভাব পড়েছে দার্জিলিঙে। টাইগার হিল, সিংগালিলা ন্যাশনাল পার্ক থেকে পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক। সর্বত্র পর্যটকদের প্রবেশে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
মঙ্গলবার থেকে বন্ধ  মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারির গেট। যেসব পর্যটক এসে পড়েছিলেন, বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁদের। একই ছবি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। এদিন থেকে বন্ধ জঙ্গল সাফারি। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি অভয়ারণ্য। হতাশ পর্যটকরা।
বুধবার থেকে বন্ধ হচ্ছে হাওড়ার শিবপুরের ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেনের গেটও। ছাড় নেই প্রাতর্ভ্রমণকারীদেরও। ৩১ মার্চ পর্যন্ত চালু থাকবে এই বিধিনিষেধ। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ উলুবেড়িয়য়ার গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রও।
সতর্কতার কথা মাথায় রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বীরভূমের ১২৮ বছরের পুরোন পাথরচাপুড়ি মেলাও।