কলকাতা: ২০১১, ২০১৬, ২০২১। বাংলা শাসনে হ্যাটট্রিক করতে চলেছে তৃণমূল। তৃতীয়বার জয়ের হাসি হাসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই জয়ের কাছে এসে রাজ্যবাসীর জন্য ভ্যাকসিন নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আর বিপুল আসন পেয়ে দল ভোটে জিততেই, তিনি বুঝিয়ে দিলেন, এবার, তাঁর মূল লক্ষ্য একটাই, করোনা মোকাবিলা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশবাসীকে ফ্রিতে ভ্যাকসিন দিতে হবে। কেন্দ্রের কাছে ফ্রিতে ভ্যাকসিন চাইব। কেন্দ্রের উচিত বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া। আমি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেব রাজ্যে। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন নিয়ে আন্দোলনে যাবেন তিনি তাও জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।


এরাজ্য তো বটেই দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর হয়ে আকার ধারণ করেছে করোনা। দেশে দৈনিক মৃত্যু রবিবারও সাড়ে তিন হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা দেশে প্রাণ কেড়েছে ৩ হাজার ৬৮৯ জনের। লাগাতার সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন করোনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। দেশের দৈনিক সংক্রমণ শনিবার পার করেছিল ৪ লক্ষের গণ্ডি। রবিবার তা সামান্য কমেছে। রবিবার দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৪৮৮ জন। অন্যদিকে গতকালই রাজ্য় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০০।


কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও বিজয় মিছিল হবে না বলেও জানান তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, এখন বিজয় মিছিল নয়, বরং কোভিডে অনেকে আক্রান্ত, তাঁদের জন্য কিছু করুন। এদিকে রাজ্যে এখনও শুরু হয়নি তৃতীয়দফার টিকাকরণ। ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়াও সম্ভব হয়নি তাই। যার মূল কারণ হিসেবে রাজ্য আগেই জানিয়েছে অপর্যাপ্ত টিকা। ফলে টিকা এলে তবেই ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে বলে জানানো হয়।


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি লকডাউন নিয়ে এখন কিছু ভাবছি না। যদিও আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। বিয়েবাড়ি সহ সামাজিক অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ লোকসংখ্যা ৫০। মুদিখানা, ওষুধের দোকানের পাশাপাশি দুধের দোকান, টেলি কমিউনিকেশনের দোকান, বিদ্যুৎ সামগ্রীর দোকান, পরিবহন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত দোকানের মতো অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনে লাগে এমন জিনিস বিক্রি করা হয় যে সব দোকানে সেগুলো লকডাউনের আওতায় আসবে না। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা ছাড়াও মিষ্টির দোকান, মাংসের দোকানও খোলা রাখা যাবে।