চণ্ডীগড় : হাজারো বিধিনিষেধে বাগে আসছে না পরিস্থিতি। বেগতিক দেখে এবার কমপ্লিট লকডাউনের রাস্তায় হাঁটল হরিয়ানা সরকার। ৩মে থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা। আপাতত সাতদিনের পূর্ণ লকডাউন থাকবে হরিয়ানায়।


গত শুক্রবার রাজ্যে ৯ জেলায় সপ্তাহান্তের লকডাউন জারি করেছিল হরিয়ানা সরকার। গুরগাঁও , পঞ্চকুলা, সোনিপত, হিসার, শীর্ষা , ফতেহাবাদ, কারনাল, রোহতক, ফরিদাবাদে জারি হয়েছিল এই নিষেধাজ্ঞা। শনিবার রাত ১০টা থেকে চালু হয়েছে এই উইকেন্ড লকডাউন। চলবে সোমবার সকাল ৫টা পর্যন্ত।


হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজ জানিয়েছেন, রাজ্যে কোভিডের চেইন ব্রেক করতে এই কমপ্লিট লকডাউন প্রয়োজন। সেকারণে ৩ মে থেকে সাতদিনের পূর্ণ লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে সরকার। তবে এর থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকী কোনও গর্ভবতী বা বিশেষভাবে সক্ষম মানুষকে এই সময় অফিসে আসতে না করা হয়েছে।


হরিয়ানার কোভিড গ্রাফ বলছে, শনিবার রাজ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ১২৫ জনের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৩৪১জন। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৫৫৮ জন।যার জেরে হরিয়ানায় এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,০১,৫৬৬ জন।


তবে এই প্রথমবার একদিনে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ পেরিয়ে যায়। রাজ্যে এখন ১,০২,৫১৬ জন সক্রিয় করোনা আক্রান্ত। যার মঝ্যে গুরগাঁও ও ফরিদাবাদেই রয়েছে ৫০ শতাংশ সক্রিয় করোনা আক্রান্ত। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গত সপ্তাহেই উদ্বেগপ্রকাশ করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহারলাল খট্টর। তিনি বলেন, ''রাজ্যে এক অপ্রত্যাশিত সুনামির পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই জানেন, বর্ষাকালে বন্যা হতে পারে। কিন্তু সুনামির কথা কেউ বলতে পারেন না।''


রবিবার দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৯২,৪৮৮ জন। শনিবার যা ৪লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত ২৪ঘণ্টায় দেশে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩,৬৮৯ জনের। রবিবার সকালের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে।