দিল্লি : অক্সিজেনের অভাবে এবার রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিল দিল্লির হাসপাতাল। ব্যাক আপ অক্সিজেন আসেনি বলেই এই সিদ্ধান্ত, সাফ জানিয়ে দিলেন সরোজ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের কোভিড ইনচার্জ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এরকম চলতে থাকলে বড় কোনও অঘটন ঘটে যাবে।

কেন হঠাৎ এরকম সিদ্ধান্ত নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ? এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের কোভিড ইনচার্জ বলেন, ''অক্সিজেনের অভাবে আমরা হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করেছি। এখন রোগীদের ডিসচার্জ করে দিচ্ছি। আমাদের হাসপাতালে ৭০ জন কোভিড রোগী রয়েছেন। যাদের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। আমরা এখনও 'ব্যাক আপ' অক্সিজেন সাপ্লাই পাইনি। এরকম চলতে থাকলে বড় কোনও অঘটন ঘটে যাবে হাসপাতালে।''

কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে দিল্লি। গত তিন দিন ধরে করোনা রোগী সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে রাজধানীর হাসপাতালগুলির। সবারই এক অভিযোগ, অক্সিজেন নেই। শুক্রবার রাতেই অক্সিজেনের অভাবে ২৫ রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজধানীর জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে। নিজেরাই সেই কথা স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডিকে বালুজা জানান, তাদের ৩.৫ মেট্রিকটন অক্সিজেন বরাদ্দ করা হয়েছিল। গতকাল বিকেল ৫টার মধ্যে সেই অক্সিজেন হাসপাতালে ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছায়নি সেই অক্সিজেন। হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছাতে রাত প্রায় ১২টা হয়ে গিয়েছিল। ততক্ষণে অক্সিজেনের অভাবে মারা যান ২৫ জন রোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে ২১৫ জন কোভিড রোগী ভর্তি রয়েছেন। যাঁদের বেশিরভাগের অবস্থা সঙ্কটজনক। সবারই অক্সিজেনের প্রয়োজন। বর্তমানে অক্সিজেন পেতে দিল্লি হাইকার্টের দ্বারস্থ হয়েছে জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতাল।

একই অবস্থা হয়েছে দিল্লির মূলচাঁদ হাসপাতালে। সম্প্রতি টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও দিল্লির লেফটেনেন্ট গভর্নর অনিল বৈজলের কাছে অক্সিজেনের জন্য আবেদন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, হাসপাতালে ১৩০-এর বেশি কোভিড রোগী লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। সেখানে মাত্র ২ঘণ্টার মেডিক্যাল অক্সিজেন রয়েছে তাদের কাছে। সূত্রের খবর, সকালের এই টুইটের পর নতুন করে রোগী ভর্তি করা বন্ধ করে দিয়েছে এই হাসপাতাল।