কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ঢুকেছে ঝাড়খণ্ডে। শক্তিক্ষয় হওয়ায় সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় শক্তি হারিয়ে পরিণত হবে নিম্নচাপে।
এর প্রভাবেই ঝাড়খণ্ড ও বিহার লাগোয়া এ রাজ্যের জেলাগুলিতে আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও।
ইয়াসের রুদ্র-রূপে লণ্ডভণ্ড দীঘা থেকে সুন্দরবন। জলের তলায়, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ অংশ। তবে, এখানেই কাটেনি উদ্বেগের প্রহর।
বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার রাজ্যে নদী তীরবর্তী এলাকায় জোয়ারের ভরা কটালে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে বলে গতকাল জানায় আবহাওয়া দফতর। গতকাল, হাওয়া অফিস জানায়, গঙ্গার জলস্তর ৫ ফুট বেড়ে যেতে পারে। ফলে, গঙ্গা তীরবর্তী নীচু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়বে। দুপুরে জোয়ারের সময় গঙ্গার জলস্তর উঠতে পারে প্রায় সাড়ে ১৭ ফুটের কাছে।
আর এরপরই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয় কলকাতা পুরসভা। তাই এদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত গঙ্গার সব লকগেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কলকাতা পুরসভা আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছে, এইসময় বৃষ্টি হলে জল জমার আশঙ্কা থাকলেও লকগেট খোলার পর জল দ্রুত নেমে যাবে।
ইয়াসের দাপট কমলেও আজও কলকাতার একাংশ জোয়ারের জলে ভাসার সম্ভাবনা। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও আজ হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এছাড়া, আজ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও।
গতকাল, বুধবার সকাল সোয়া ন’টা নাগাদ বালেশ্বরে আছড়ে পড়ে ঝড়, তাণ্ডব চালাল প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে। ইয়াসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড পূর্ব মেদিনীপুর। ঢেউ ছুঁয়ে গেল নারকেল গাছের মাথা। জলের তলায় দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর থেকে হলদিয়া। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত দুই ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের ১৪টি জেলা।