মুম্বই: মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি ভালো নয়। এরকম অবস্থায় কীভাবে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে রেমডিসিভিরের মতো ওষুধ সরাসরি কিনতে পারে বেসরকারি সংস্থাগুলি? মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল বম্বে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের যুক্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি সমস্ত ওষুধ কেন্দ্রকে দেবে এবং কেন্দ্র রাজ্যগুলির কাছে তা সরবরাহ করবে। 


মহারাষ্ট্রে অক্সিজেন এবং রেমডিসিভিরের মতো কোভিড চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করেন আইনজীবী স্নেহা মার্জাদি। এই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি গিরিশ এস কুলকার্নির একটি বেঞ্চ।


অভিযোগ, গত সপ্তাহে দিল্লি থেকে রেমডিসিভিরের প্রায় ১০,০০০টি ফাইল কিনেছে আহমেদনগরের বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুজয় ভিকে পাটিল, এরপর ইঞ্জেকশনগুলি বিতরণও করেন তিনি। সোমবার এই বিষয়টি নিজেদের পর্যবেক্ষণে নিয়েছে ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চও। 


বিচারপতি গিরিশ এস কুলকার্নির কথায়, "আমরা চাই, মুষ্টিমেয় কয়েকজনের কাছে নয়, যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের প্রত্যেকের কাছে ওষুধ পৌঁছে যাক।" তবে শুধু আহমেদনগরেই নয়, এমন বহু বেসরকারি সংস্থা ওষুধগুলি কিনে নিচ্ছে আলাদা করে। অভিযোগ এমনটাই। এ প্রসঙ্গে আদালতের হুঁশিয়ারি, "এরপর ফের এমন কোনও ঘটনা সামনে এলে, সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।"


আগামী ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সেখানেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে আদালত।


ওষুধের বন্টনের পাশাপাশি সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে মহারাষ্ট্রে শব দাহ করার জায়গাগুলি ঠিকমতো পরিচালনা করা হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে আদালতের নির্দেশ "মহারাষ্ট্রের সমস্ত মর্গ এবং শ্মশানের অবস্থা কী এবং পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে আদালতকে জানাতে হবে।" আদালতের পর্যবেক্ষণ, "সৎকারের ব্যবস্থার অবিলম্বে উন্নতি করতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে মৃতদেহ ফেলে রাখা যাবে না।"


প্রসঙ্গত, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের শেষ বুলেটিন অনুয়ায়ী, মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৪৮ হাজার ৭০০ জন করোনায় আক্রান্ত।