নয়াদিল্লি: ফের লাফ ভারতের দৈনিক কোভিড সংক্রমণে। বুধবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৫৪২ জন। তার আগের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৬৩৩। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় কার্যত লাফ দিয়েছে নতুন কোভিড সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য় বলছে এখন দেশে অ্যাক্টিভ কোভিড কেস ৬৩,৫৬২। 


গত ৫ দিনে একটু একটু করে সংক্রমণের গ্রাফ কমছিল।। ১৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোটের উপর নিম্নগামী ছিল এই গ্রাফ। তারপরে ফের লাফ।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দেশে কোভিড সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও চিন্তা বাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। যাঁদের মধ্যে ১১ জনই কেরল থেকে। 


এখন দেশে দৈনিক কোভিড পজিটিভিটি রেট ৪.৩৯ শতাংশ। সাপ্তাহিক কোভিড পজিটিভিট রেট ৫.১ শতাংশ। তবে সুস্থতার হারও অনেকটাই বেশি। এখন দেখে সুস্থতার হার ৯৮.৬৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ২২০.৬৬ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।


শঙ্কা কোথায়?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট XBB1.16 টিকার কবচ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়াতে পারে। গতিপ্রকৃতি যেদিকে তাতে আগামী চার সপ্তাহ কড়া নজরে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।


ANI সূত্রের খবর, AIIMS-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, 'সারা দেশে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। তবে এই সংক্রমণের অধিকাংশই মৃদু উপসর্গযুক্ত। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও তেমন বাড়ছে না। এখন ভয়ের মতো পরিস্থিতি নেই।


১৮ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোভিড ১৯-এর জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল। তাতে ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বারবার হাত ধোওয়া, অ্যালকোহল-বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাতে। কোভিড পজিটিভ হলে এক সপ্তাহ হোম আইসোলেশনে থাকার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে।


রাজধানীতে ( Delhi ) করোনার দাপট কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার শুধু দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩৭ জন। এখন দিল্লিতে করোনার পজিটিভিটি রেট ২৬.৫৪%। স্বাস্থ্য বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, একদিনে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে, একটি বিবৃতিতে, স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে যে দুটি ক্ষেত্রে কোভিড -19  ই ছিল মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ। অন্য তিনটি ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে ভাইরাসের অস্তত্ব ছিল। 


আরও পড়ুন: খুব শিগগিরি জনসংখ্যায় চিনকে টপকে যাবে ভারত, ফারাক হবে বিরাট, বলছে জাতিসংঘ