নয়াদিল্লি: এবার দিল্লির পথই অনুসরণ করল ঝাড়খণ্ড। সপ্তাহ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করল হেমন্ত সোরেনের সরকার। সংক্রমণ রুখতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। এই এক সপ্তাহের লকডাউনকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সপ্তাহ ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।


ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনা। দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। এই আবহে আশঙ্কার মেঘ দেখছেন খোদ চিকিৎসক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ঢেউয়ের থেকে ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণের হার আরও মারাত্মক। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা ছাপিয়ে যাচ্ছে আগের দিনের পরিসংখ্যানকে। সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত রূপে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল।


রাজধানীতে প্রতি তিনটি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে একটিতে পজিটিভ রেজাল্ট আসছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে সপ্তাহান্তে কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছিল দিল্লি সরকারের তরফে। কিন্তু, তাতেও শহরের কিছু জায়গায় একাংশ মানুষ করোনাবিধি লঙ্ঘন করছিল। কাজেই, নিয়মের কড়াকড়ির প্রয়োজন বোধ করে সরকার। আর তাই, পরিস্থিতি পুরোপুরি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগে বিশেষ পদক্ষেপ দিল্লি সরকারের। আজ রাত থেকে সম্পূর্ণ কার্ফু জারি থাকবে রাজধানীতে। চলবে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত। গতকাল সকালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ কার্ফু জারি থাকবে দিল্লিতে। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত বেসরকারি অফিসের কাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে করতে হবে। তবে সরকারি অফিস এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু থাকবে।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ২,৫৯,১৭০ জন ৷ মৃত্যু হয়েছে ১,৭৬১ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১,৫৪,৭৬১ জন ৷ ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৫৩,২১,০৮৯ জন ৷ মৃত্যুর সংখ্যা ১,৮০,৫৩০ ৷ পাশাপাশি ১২,৭১,২৯,১১৩ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর ৷