তিরুঅনন্তপুরম : কোভিড ভ্যাকসিন ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ছে। এবার ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে যৌথ প্রচেষ্টা চাইলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এই মর্মে তিনি বিজেপি ক্ষমতায় নেই এমন ১১ রাজ্যের(তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিসগড়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পঞ্জাব, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্র) মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। এমনকী ফ্রি-তে ভ্যাকসিনেশনের দাবিও জানিয়েছেন। ট্যুইট করে সেকথা জানান বিজয়ন।


ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীকে যৌথ মৈত্রীর কথা লিখেছি। এটা দুর্ভাগ্যের যে, কেন্দ্র ভ্যাকসিনের জোগান, বিনামূল্যে টিকাকরণ নিশ্চিত করার মতো কর্তব্য থেকে মুক্তি চাইছে। এই মুহূর্তের প্রকৃত চাহিদা নিয়ে আমাদের যৌথভাবে চেষ্টা চালাতে হবে। যাতে কেন্দ্র এখনই কাজ শুরু করে।


চিঠিতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি অর্থনৈতিক লাভ খুঁজছে। অন্যদিকে বিদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ভ্যাকসিন সরবরাহে রাজ্যের সাথে কোনও চুক্তিতে আসতে রাজি নয়। এবিষয়ে আমাদের তরফে যৌথভাবে চেষ্টা করতে হবে যাতে রাজ্যগুলির প্রয়োজনমতো কেন্দ্র ভ্যাকসিনের জোগান দেয় এবং বিনামূল্যে তা বিতরণ করা হয়।


ভারতে এমন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা রয়েছে যারা ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সক্ষম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারের এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, ভ্যাকসিন উৎপাদনের পথে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস বা পেটেন্ট ল-যেন কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।


রাজ্যের তরফে কোভিড ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করা হোক, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অবস্থানের অভিযোগ উঠেছে। এপ্রসঙ্গে বিজয়ন বলেন, এই পরিস্থিতিতে দেশ যখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে চলছে, তখন রাজ্যগুলিতে ভ্যাকসিনের যথেষ্ট জোগান দেওয়ার কর্তব্য থেকে কেন্দ্রের মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা দুর্ভাগ্যের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিশাল প্রভাব রয়েছে। যা আমাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে। এছাড়া তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আমাদের প্রস্তুতির মান বাড়াতে হবে। 


এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা তাঁরা একটি চিঠি ওই চিঠির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন বিজয়ন। তাতে সব রাজ্যের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে গ্লোবান টেন্ডারের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছে।