তিরুবনন্তপুরম : রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী অক্সিজেনের চাহিদা। বেগতিক দেখে এবার তামিলনাড়ু, কর্ণাটককে অক্সিজেন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেরল। চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সেই কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।


প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিজয়ন জানান, কেরলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের চাহিদাও বাড়ছে। এতদিন তামিলনাড়ু, কর্ণাটককে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে কেরল। তবে আর তা করতে পারবেন না তিনি। বর্তমানে কেরলে ২১৯ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রস্তুত করা হচ্ছে। অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যবাসীর জন্য তা কাজে লাগাতে চান তিনি।


এই বলেই থেমে থাকেননি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বিজয়ন লিখেছেন, রাজ্যে বর্তমানে মজুত রাখা অক্সিজেনের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কমেছে। আগে এই মজুতের সংখ্যাটা ছিল ৪৫০ টন। এখন যা কমে ৮৬ টনে দাঁড়িয়েছে। ভিন রাজ্যে স্টক পাঠিয়ে অক্সিজেনের এই উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণে কেরলকে অন্য রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানোর থেকে অব্যাহতি দিক কেন্দ্রীয় সরকার।


কেরলে করোনা পরিস্থিতি বলছে, রাজ্যে এখন ৪,০২,৬৪০ সক্রিয় কোভিড কেস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীক চিঠিতে সেই পরিসংখ্যানই দিয়েছেন বিজয়ন। তিনি আশঙ্কা করেছেন, ১৫ মের মধ্যে এই সংখ্যাটা ৬,০০,০০০ পৌঁছে যাবে। ওই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে রাজ্যে ৪৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে।


কেরলে প্রধান অক্সিজেন ইউনিট বলতে আইনক্স। পলক্করের কোঝিকোড়ে রয়েছে এই অক্সিজেন ইউনিট। সব মিলিয়ে আইনক্সের প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি ১৫০ মেট্রিক টন। অন্যান্য ছোট ইউনিটগুলি নিয়ে কেরলে প্রতিদিন ২১৯ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রস্তুত হয়।


রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বলছে, কেরলে প্রতিদিন কোভিড পজিটিভিটি রেট ২৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, শীঘ্রই তা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। রাজ্য সরকারের আরও আশঙ্কা, কেরলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলবে। বেগতিক বুঝে আগেভাগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছেন বিজয়ন। রাজ্যে অক্সিজেন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তামিলনাড়ু, কর্ণাটককে অক্সিজেন পাঠানো থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তিনি।