নয়াদিল্লি : অগ্রাধিকার দিন করোনার দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের। বরাদ্দ হওয়া টিকার ৭০ শতাংশ ব্যবহার করুন কোভিডের দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে। বাকিগুলি থেকে নতুন টিকাকরণ চালান। রাজ্যগুলিকে এই বার্তাই দিল কেন্দ্র।
মঙ্গলবার রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ও ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপের সদস্য চিকিৎসক আরএস শর্মা বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের কথা বলেন। সেখানেই তারা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উদ্দেশে বার্তা দেন, যারা ইতিমধ্যে প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন তাদেরকে পরের ডোজ দেওয়ার দিকে অগ্রাধিকার দিন। দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের জন্য ৭০ শতাংশ ভ্যাকসিনের ডোজ আলাদা করে রাখার বার্তাও দেওয়া হয়। যদি কোনও রাজ্য চায় তাহলে তারা দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে বরাদ্দ সব ভ্যাকসিনই সরিয়ে রাখতে পারে বলেও জানান তারা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই মুহূর্তে সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে গোটা ভারতে। রোজই দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এর মাঝেই ভ্যাকসিনের আকাল গোটা পরিস্থিতিতে আরও ঘোরালো করে তুলেছে। একাধিক রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্র কার্যত নিরন্তন ভ্যাকসিন বন্টন নিয়ে জড়াচ্ছে বাগযুদ্ধে। এর মাঝেই মে মাসের শুরু থেকে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু দেশের একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিনের অভাবে হোঁচট খেয়ে খেয়ে এগোচ্ছে যে কর্মসূচি।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এক্ষুণি শুরু হচ্ছে না ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। করোনার দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের প্রথমে, তারপর ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাসদের ও যার পরে সবার জন্য টিকাদান কর্মসূচি চালু হবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
চিকিৎসক মহলের পক্ষ থেকেও বার্তা ছিল দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রয়োজন। এর আগে কয়েক দফায় ৪৫ ঊর্ধ্ব সকলকে ও ফ্রন্টলাইন ওয়াকার্সদের টিকা দেওয়া যাবে বলে নির্দেশ ছিল কেন্দ্রের। এখন সকল প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়ার ছাড়ের পর যাতে কোনওভাবে যাতে প্রথম ডোজ প্রাপকদের পরের ডোজ পেতে কোনও সমস্যা না হয় তা নিয়েও চিন্তায় ছিলেন অনেকে। কেন্দ্রের দ্বিতীয় ডোজে অগ্রাধিকারে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব দূর হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।