বাড়তে বাড়তে এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটির বেশি মানুষ। যে কোনও সময়ে মৃত্যু ছাড়িয়ে যাবে আড়াই লক্ষ! সব মিলিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এলোমেলো ভারত!


বিশ্বের ছোট-বড় বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে সাহায্য-সামগ্রী। কিন্তু, তা সত্ত্বেও অক্সিজেনের হাহাকার থামছে না! যাচ্ছে প্রাণ। এই পরিস্থিতিতে জোড়া সঙ্কটের জেরে করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ করে দিল যোধপুর পার্কের বেসরকারি হাসপাতাল, শ্রী অরবিন্দ সেবাকেন্দ্র তথা EEDF। EEDF কর্তৃপক্ষের দাবি, কোভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ সমস্ত বেড ভর্তি। তার উপর দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের অভাব। ইইডিএফ এর তরফে মেনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার  রুদ্র পাল জানিয়েছেন,  '' গতকাল থেকে অক্সিজেনের সঙ্কট। অক্সিজেনের প্রচুর চাহিদা। কিন্তু সাপ্লাইয়াররা দিতে পারছে না। তাই রোগী ভর্তি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ভর্তি নিলে অসুবিধা হতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত। '' 


অক্সিজেনের সঙ্কটের কথা স্বাস্থ্য দফতরকে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। EEDF হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যভবনের হস্তক্ষেপে আপাতত ভর্তি থাকা কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেনের জোগানের ব্যবস্থা করা গেছে। কিন্তু বেড খালি না হওয়া পর্যন্ত, নতুন করে করোনার রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না।

অন্যদিকে, অক্সিজেনের অভাবে এক রাতে তিন-তিনজন রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তিন মৃতের পরিবারেরই অভিযোগ, শ্বাসকষ্ট হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া হয়নি হাসপাতালে। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে উঠে এসেছে মারাত্মক তথ্য! সুপারের দাবি, বিদ্যাসাগর হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনও অভাব নেই। ফ্লোমিটার না থাকাতেই তৈরি হয়েছে সঙ্কট। 

এছাড়া, আজই ন্ধ্রপ্রদেশে অক্সিজেনের অভাবে ১১ জন করোনা রোগীর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা ঘটে তিরুপতির রুইয়া হাসপাতালে। হাসপাতালে অক্সিজেন রিলোডে পাঁচ মিনিট দেরি হওয়ায় ১১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়। চিত্তুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন মৃত্যুর পিছনে অক্সিজেনের চাপ কমে যাওয়াই কারণ। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি।