কলকাতা :পুড়ে ছাই হয়ে গেল এম আর বাঙুর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স।  বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সেও। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স । হাসপাতাল কর্মী ও দমকল কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 



ঘড়িতে তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। এমআর বাঙুর হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের সামনেই দাঁড়িয়েছিল ওই অ্যাম্বুলেন্সটি।  প্রথমে দেখা যায়, হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে একটি অ্যাম্বুলেন্স । স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল কর্মী ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।  জানা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আনা হয়েছিল ওই অ্যাম্বুলেন্সটি। হঠাতই আগুন লেগে একেবারে  পুড়ে ছাই হয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি।


ওই অ্যাম্বুলেন্সটির  পাশেই ছিল একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স । সেটিও  সেই আগুনে পুড়ে যায়।  প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগুন ছড়াতেই বাড়ে আতঙ্ক। কী হবে ভিতরে থাকা রোগীদের , আত্মীয়-স্বজন উত্কণ্ঠিত হয়। 


গাড়িটিতে আগুন লাগতেই কর্মীরা ছুটে আসেন। সামনেই অক্সিজেনের প্লান্ট, জেনারেটর রুম। এই আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় ছুটে আসেন হাসপাতালের কর্মী ও লুপার নিজে। প্রথমে হাসপাতালের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কাজে লাগানো হয়। তারপর দমকলে খবর দেওয়া হলে সেখান থেকে ফায়ার ইঞ্জিন পাঠানো হয়। হাসপাতালের সুপার জানান, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও খুব ভাল। আর সমস্ত বিধি মেনেই তৈরি হাসপাতাল। তাই আগুন সামলাতে মুশকিল হয়নি।


হাসপাতালের সুপার জানান, রোগীরা সকলেই ভাল আছেন। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। 


কিছুদিন আগেই গুজরাতের ভারুচে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে আগুন লেগে আইসিইউ-তেই পুড়ে মৃত্যু হয় ১৮ জন করোনা রোগীর। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ভারুচের পটেল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালের কোভিড কেয়ার সেন্টারে আগুন লাগে। আইসিইউ-তে শর্ট শার্কিটের জন্যই আগুন লাগে। 

এপ্রিলের শেষে মহারাষ্টের ঠাণে-তে হাসপাতাল আগুনের জেরে ৪ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহত হন ১২ জন।  


তার ঠিক পাঁচদিন আগে, গত ২৩ তারিখ, মহারাষ্ট্রের পালঘরের ভাসাইয়ে বিজয় বল্লভ কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়  মৃত্যু হয় ১৪ জন রোগীর।