চণ্ডীগড় : বার বার প্রশ্ন করা হলেও একই উত্তর এসেছে। প্রতিবারই রাজ্যে কমপ্লিট লকডাউনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার ভিন্ন সুর ক্যাপ্টেনের গলায়, 'প্রয়োজনে রাজ্যে পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে সরকার।'

পঞ্জাবের কোভিড পরিস্থিতি বলছে, গ্রাফ বাড়ছে করোনা রোগীর। যা উদ্বেগে রেখেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এ প্রসঙ্গে অমরিন্দর সিং বলেন, ''রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন জারি হলে বিপাকে পড়বেন গরিব লোকজন। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। রাজ্যে ফের একবার অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। যদি রাজ্যবাসী ঠিকভাবে নিষেধাজ্ঞা না মানেন, তাহলে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে সরকার।

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ডিজিপি দীনকর গুপ্তা জানান, কোভিড গ্রাফ বৃদ্ধি পাওয়ায় সফল লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। রবিবারই নতুন করে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পঞ্জাবে। এদিন কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, '' এখন থেকে রেস্তোরাঁ থেকে সব ধরনের ডেলিভারি নেওয়া বন্ধ। তবে চালু থাকবে হোম ডেলিভারি সিস্টেম। ছেলে-মেয়েরা রেস্তোরাঁ থেকে এই খাবার নেওয়ার নাম করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। তবে খাবার দোকান, রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করলেও সারের দোকান খোলা রাখার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।''

রাজ্যের পরিস্থিতি শোধরাতে এদিন ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালে ২০ শতাংশ বেড বৃদ্ধির কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে স্টেডিয়াম ও জিমনাসিয়ামে কোভিড রোগী রাখার ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিধু জানান, পঞ্জাবে এল ৩ ক্যাটেগরিতে কেবল ৩০০ বেড খালি রয়েছে। রোগীর চাপে হাসপাতালের অবস্থা শোচনীয়।

পঞ্জাবের হেলথ বুলেটিন বলছে, রবিবার রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩২৭ জন। একদিনে ১৫৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে রাজ্যে। সব মিলিয়ে এখন রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩১৭ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৮৫,২৭০ জন।