সোমনাথ মিত্র, হুগলি: দেশ সহ রাজ্য জুড়ে বাড়ছে করোনা। আর সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে অনির্দিষ্টকালের জন‍্য পুণ্যার্থীদের তারকেশ্বর মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্তৃপক্ষ।


তারকেশ্বর এসেস্টের মোহান্ত মহারাজ দন্ডীস্বামী সুরেশ্বর আশ্রম একথা জানিয়ে বলেন, গত ১০ তারিখে একটি নির্দেশিকা জারি করে গর্ভগৃহে প্রবেশ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। মূল কারণ হল, এ বছর করোনা লাফিয়ে লাঠিয়ে বাড়ছে। তাই আমরা যদি সচেতন না হই, মানুষকে যদি সচেতন না করতে পারি তাহলে তারকেশ্বরকে রক্ষা করতে পারব না। পরিস্থিতি উন্নতি হলে তখন পুনরায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, পুণ্যার্থীদের চোঙায় জল ঢালতে হবে। করোনার সুরক্ষা বিধি মেনে, মুখে মাস্ক পরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ করতে হবে।


গত বছর করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় একইভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় তারকেশ্বর মন্দির। এরপর আনলক পর্ব শুরু হলে গত বছর ২৫ জুন একদিনের জন্য পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা। ফের ৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি। ২ দফায় খোলা ছিল মন্দির। প্রথম দফায় সকাল ৬টা থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত। এবং দ্বিতীয় দফায় সকাল ১১ থেকে দুপুর ১টা অবধি মন্দিরের দরজা খোলা ছিল। তবে ভক্তদের মন্দিরে ঢোকার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর জোর দেওয়া হয়।


এদিকে দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের গতি আরও বেশি। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই গতি অব্যাহত থাকায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত এক লক্ষ একষট্টি হাজার সাতশো ছত্রিশ জন। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কারণে মারা গিয়েছেন আটশো উনআশি জন।  এই নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল এক কোটি ছত্রিশ লক্ষ উননব্বই হাজার চারশো তিপান্ন জন। মোট মৃত্যু এক লাখ একাত্তর হাজার আটান্ন জনের। করোনায় সর্বাধিক আক্রান্তের তালিকায় দুনম্বরে ভারত। অ্যামেরিকার পরেই।