নিউ দিল্লি : ভারত ও ইংল্যান্ডের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর কোভ্যাকসিন। এমনই দাবি করল এই ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। ক্লিনিকাল ইনফেকশাস ডিজিজেস নামে একটি জার্নালে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। 


ভারত বায়োটেকের কো-ফাউন্ডার ও জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এল্লা টুইটারে লিখেছেন, আবার আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেল কোভ্যাকসিন। নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভ্যাকসিন সুরক্ষা দিচ্ছে বলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে। ভারত বায়োটেকের টুপিতে আরও একটি নতুন পালক জুড়ল।


এদিকে তাঁর টুইটারের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোভ্যাকসিনের জোগান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিশিল্ডের সঙ্গে জরুরি অনুমোদন পায় কোভ্যাকসিন। ক্লিনিকাল ট্রায়াল দিয়ে এই ভ্যাকসিনের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু তৃতীয় দফার ট্রায়াল এখনও বাকি আছে।


ভ্যাকসিনের ঘাটতির জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকাকরণ কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফি দিনই ৩ লক্ষর বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে চাহিদা অনুযায়ী জোগানের বিষয়টি মাথায় রেখে অন্য সংস্থাকে দিয়েও এই ভ্যাকসিন তৈরির প্রস্তাব উঠেছে।


এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, অন্য সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ানো হবে। নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল সম্প্রতি জানিয়েছেন, অনেকে বলছেন যে অন্য সংস্থাকে কোভ্যাকসিন উৎপাদন করতে দেওয়া উচিত। আমি এটা জানাতে পেরে খুশি বোধ করছি যে, যখন আমরা কোভ্যাকসিন উৎপাদনকারী(ভারত বায়োটেক) সংস্থার সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করি, তখন তারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।


ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্কবার্তা আসছে। শিশুরা এই ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণের হার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞই দাবি করেছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের আগে যাতে সব প্রাপ্ত বয়স্ককে টিকা দেওয়া যায়। তাতে সংক্রমণের চেন ভাঙা যাবে।