বেজিং : চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। কমপক্ষে ১৮টি প্রদেশে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সেদেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। রবিবার চিনের পাবলিক হেল্থের অফিসাররা বলেন, উহান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এখন যে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে তা আরও বেশি গুরুতর। গ্লোবাল টাইমস এমনই খবর করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংক্রমণ রোধে যে ত্রুটি রয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি গণ টিকাকরণে জোর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও তাঁরা তুলে ধরেন।
চিনের মহামারী বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সংক্রমণ একদম প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে গ্লোবাল টাইমস বলছে, চিনের ঝাঙ্গজিয়াজি শহরে রবিবার অন্ততপক্ষে আট আক্রান্তের হদিস পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, এই শহরটি চিনের হুনান প্রদেশে রয়েছে এবং অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
রবিবার এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হং নাশান বলেন, ঝাঙ্গজিয়াজি শহরে যে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে তা ছোট ছোট শহরেও ছড়াবে কি না তা এখনও অজানা। তবে, পর্যটকদের গন্তব্য বেজিং, সিচুয়ান, লিওনিং ও জিয়াংসু সহ পাঁচটি প্রদেশের অন্তত সাতটি শহরে কোভিড সংক্রমণ দেখা গেছে।
ঝাঙ্গজিয়াজিকে কেন্দ্র করে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যা আবার নানজিং লুকু বিমানবন্দরের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেটা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বলে নিশ্চিত। হং আরও বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আগমনে ক্লোজ কনট্যাক্টের ধারণা আরও জোরাল হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে বিশেষ করে একই জায়গায়, একই বিল্ডিংয়ে বা চারদিনের মধ্যে যাঁরা সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের কথা বলা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার চিনে নতুন করে ৭৫ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত চিনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন, ৩১টি প্রদেশে ৯৩ হাজার ৫ জন আক্রান্ত এবং ৪ হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে। উল্লেখ্য, চিনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের হদিস মেলে। তা পর তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।