কাঠুয়া(জম্মু ও কাশ্মীর) : করোনা পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে অনেক লড়াকু মানুষের কাহিনি। ভয় না পেয়ে কর্তব্যে অবিচল থাকার কাহিনি। সেরকম গল্প অনেকটা জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার লখনপুর এলাকার একটি কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার শিবানীর। এই অতিমারি পরিস্থিতিতে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছেন তিনি।


চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজে যোগ দেন শিবানী। সরাসরি লখনপুরের কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে যখন কাজে যোগ দেন তিনি, তখন তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।


এপ্রসঙ্গে শিবানী বলেন, আমি খুব খুশি ছিলাম। একইরকম চিন্তিতও। আমি জানতাম যে, এটা খুব কষ্টকর হবে। কারণ, অতিমারির মাঝামাঝিতে রয়েছি। তবে আমার দ্বিতীয় কোনও চিন্তা আসেনি। আমি কখনও নিজের দায়িত্ব ছেড়ে ভয়ে বাড়িতে বসে থাকার কথা ভাবিনি।


৩০ বছরের চিকিৎসক বলেন, আমি চাইছিলাম না যে, সন্তান আমার কাজ না করার কারণ হোক। এই সব সময়ে পরিবারের সহায়তা খুব কাজে আসে। আমি শ্বশুরবাড়িতে থাকি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও যখন কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলি, তখন প্রত্যেকেই আমার সিদ্ধান্ত মেনে নেন। 


এই মুহূর্তে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিবানী। জানান, প্রত্যেক দুই-তিন ঘণ্টা অন্তর স্বামী আমাকে চেক করেন। হাইড্রেটেড থাকার কথা মনে করিয়ে দেন। কখনও মিস না করেই সারাদিন আমার বাবা-মা, স্বামী ফোন করেন। জিজ্ঞাসা করেন, আমি ঠিক আছি কি না। আমাকে চিন্তা না করে খুশিতে থাকতে বলেন।


যদিও PHC কর্তৃপক্ষ তাঁকে নন-কোভিড ওয়ার্ডে ডিউটিতে রেখেছেন। তবে তিনি সেইসব রোগীর কাউন্সেলিং করেন যাঁদের করোনার উপসর্গ আছে এবং ভয় পাচ্ছেন। শিবানী বলেন, আমার টিম আমাকে খুবই সাহায্য করে। তারা সব সময় খেয়াল রাখে যে, আমি যেন বেশি কাজ করে না ফেলি। সবাই যখন বলে আমি খুব সাহসী, তখন খুব ভাল লাগে। এটা আমাকে উৎসাহিত করে।