নয়াদিল্লি : শেষমেশ কি কাটল করোনার কালো মেঘ ? মারণ ভাইরাসের একের পর এক ওয়েভের ধাক্কা, প্রাণহানি, মহামারির পর্ব কি পাকাপাকিভাবে অতীত হল ? সেই সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করে তুলল দেশের করোনা পরিসংখ্যান।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের (৮ নভেম্বর) বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা শূন্য। ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়া শুরু থেকে এই প্রথমবার। মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় আড়াই বছর।


একেবারে নিচে সংক্রমণও


কেন্দ্রীয় সরকারের ৮ নভেম্বরের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২৫ জন। যা ২০২০ সালের ৯ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। আর ২০২০-র মার্চের পর এই প্রথমবার দৈনিক মৃত্যু নামল শূন্যতে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৯ এপ্রিলের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৪০ জন।


এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ২১ জন। আর গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬২ হাজার ১৪১ জনে। আর করোনার ধাক্কায় এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০৯ জন দেশবাসীকে হারিয়েছি আমরা।


 






 


কাছের মানুষ হারানো...


২০২০ সালের মার্চে কর্ণাটকের কালাবুর্গীর ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধ দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তারপর থেকে গোটা দেশজুড়ে থাবা করাল হয়েছিল মারণ ভাইরাসের। করোনা কেড়ে নিয়েছে অনেকেরই কাছের মানুষকে। 


শুধু প্রাণ নিয়েই থেমে থাকেনি করোনা। শরীরে থাবা বসিয়ে একাধিক মানুষকে অসুস্থ করে দেওয়া থেকে দেশ তথা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটের এক কালো সময় তৈরি করেছিল।


করোনা ভ্যাকসিনের হাত ধরে আস্তে আস্তে যে কঠিন লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত সহ গোটা বিশ্ব। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ভারতে প্রায় ২২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন- ছিল ১৭.৭, বেড়ে হল ৩০.৮৮ লক্ষ কোটি, নোটবন্দির ছ’বছরে রেকর্ড বৃদ্ধি নগদের