নয়াদিল্লি : ডিসেম্বর ২০২২ । চিনে ( china ) ভয়াবহ চেহারা নিতে শুরু করে করোনা সংক্রমণ ( Corona virus ) । আগামী সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসে, পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের অনুমান ছিল, সংক্রমণের ঢেউ চূড়ায় পৌঁছোলে চিনে প্রতিদিন মৃত্য়ু হতে পারে ৫ হাজার মানুষের।  এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই আতঙ্ক ছড়ায় এ দেশেও। তাহলে কি আবার ফিরবে করোনা-দুঃস্বপ্ন ? 


দেশে করোনা সংক্রমণ সর্বনিম্ন

কিন্তু এদেশে এখনও পর্যন্ত করোনাগ্রাফে বড় একটা ওঠানামা দেখা যায়নি এই তরঙ্গ-আশঙ্কার মধ্যেও। বরং মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি এল সুখবর। দেশের করোনাগ্রাফ নিয়ে এতবড় সুখবর শোনেনি মানুষ সেই ২০২০ সাল থেকে। 
২০২০র ফেব্রুয়ারি । করোনাভাইরাস - এই নামটি ত্রাসের মতো ঢুকে পড়ে দেশে। সারা বিশ্বের কাছে হয়ে ওঠে আতঙ্ক। তারপর থেকে রোজই করোনা পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অবশেষে ২০২৩ এর ১৭ জানুয়ারি এখনও অবধি সবথেকে কম সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হল এদেশে। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৮৯টি নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণ  নথিভুক্ত হয়েছে, ২৭ শে মার্চ, 2020 এর পর থেকে সর্বনিম্ন। এখন দেশে  সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০৩৫-এ নেমে এসেছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে এমনটাই বলছে দেশের করোনাগ্রাফ। 



  • সারা দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এখনও অবধি ৪.৪৬ কোটি (4,46,81,233)।

  • সারা দেশে মোট কোভিডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজারের কিছু বেশি।  

  • এখন সারাদেশে সংক্রমণের হার, ০,০১  শতাংশ।

  • কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরিসংখ্যান এখন ৯৮.৪০ শতাংশে । 


মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের অধীনে এ পর্যন্ত দেশে ২২০.১৭ কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।  গত বছরের ২৫ জানুয়ারি দেশ কোভিডে চার কোটি আক্রান্ত হওয়ার ভয়াবহ মাইলফলক অতিক্রম করে। 

আরও পড়ুন :


আরও কমল শহরের তাপমাত্রা, বৃষ্টির ইঙ্গিত, কবে থেকে?

সম্প্রতি, প্রতিবেশী দেশ চিনে এবার থাবা বসিয়েছে  করোনার ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্টের সাব ভ্য়ারিয়েন্ট BF.7। তাতে সামান্য় কয়েকদিনের মধ্য়েই পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে, তাতে ঘুম উড়েছে গোটা বিশ্বের!  চাপের মুখে ৭ ডিসেম্বর চিন কোভিড বিধি নিষেধ প্রত্য়াহার করে। ৮ ডিসেম্বরই চিনে এক হাজার জন করোনা আক্রান্ত হন। ৭ দিনে আক্রান্তের সংখ্য়াটা পৌঁছে যায় ১৫ হাজারে। এক সপ্তাহে মৃত্য়ু হয় ৭ হাজার নাগরিকের। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, চিনে করোনার এবারের ঢেউ হতে চলেছে সবথেকে মারাত্মক! সংক্রমণের ঢেউ চূড়ায় পৌঁছোলে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্য়া ১০ লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে। প্রতিদিন মৃত্য়ু হতে পারে ৫ হাজার মানুষের।  চিনের Institute for Health Metrics and Evaluation'এর একটি মডেল অনুযায়ী, ২০২৩-এ চিনের মোট জনসংখ্য়ার এক তৃতীয়াংশই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন ।