নয়াদিল্লি: হাঁচি, কাশি, জ্বর-এগুলি করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ বলে ধরা হচ্ছে। এমন উপসর্গ নিয়ে কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে লোকজনকে। প্রকাশ্যে সংক্রমণের সংস্পর্শ এড়াতে মাস্ক পরে বাইরে বেরচ্ছেন লোকজন। চারদিকে আতঙ্ক, আশঙ্কার আবহ। তার মধ্যেই মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে প্রকাশ্যে হাঁচি দিয়ে, থুতু ফেলে মার খেলেন একজন। গোটা ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় উঠেছে। মহারাষ্ট্রেই দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৪৫ জন। ফলে সেখানে মুহূর্তের উত্তেজনায় ঘটে যাচ্ছে কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনাও।
প্রসাদ দিলে নামে কোলাপুরের গুজরি এলাকার এক বাসিন্দা রাস্তায় টু-হুইলারে চেপে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, পাশ দিয়ে টু-হুইলারে যেতে যেতে মুখ না ঢেকেই এক ব্যক্তি হাঁচি দিতে থাকেন। প্রসাদের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সরকারি অ্যাডভাইজরির কথা মনে করিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করে মাস্ক পরে বাইরে বেরতে বলেন। বলেন, ডাক্তাররা যেভাবে বলছেন, সেভাবে চলুন। প্রসাদের দাবি, লোকটি সেকথায় কান না দিয়ে তর্ক জুড়ে দেন, এমনকি কথাকাটাকাটির মধ্যে তাঁর গায়ে থুতু ফেলেন, তাঁর স্ত্রীকেও খারাপ কথা বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ অনুসারে, এরপরই দুপক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আশপাশের কিছু লোকজনও লোকটিকে মারধর করে।
ঘটনার ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ট্যুইট করে হাঁচি দেওয়া ব্যক্তিরই নিন্দা করে বলেছেন, যারা নিয়ম ভেঙে নিজেদের পাশাপাশি পাশের প্রতিটি মানুষকেও বিপদে ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত মহারাষ্ট্র পুলিশের।
করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগে এমন হিংসা নতুন নয়। গত ১৬ মার্চ ইজরায়েলের তিবেরিস শহরে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইহুদিকে চিনা নাগরিক বলে ভুল করে ধরে নিয়ে ‘করোনা করোনা’, ‘চিনা’ বলে ডেকে মারধর করে দুজন।