তিরুঅনন্তপুরম: ফের কলঙ্কিত কেরল। তিরুঅনন্তপুরমের এক স্বাস্থ্যকর্মীর লালসার শিকার বছর চুয়াল্লিশের এক মহিলা। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল প্রদীপ নামে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জুনিয়র হেলথ ইনস্পেক্টরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিলা কমিশনও পৃথক ভাবে ওই স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। অভিযুক্ত হেলথ ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেরলের স্বাস্থ্য সচিবকে।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই নিজের বাড়ি ফিরেছেন ওই নিগৃহীতা। ২ সপ্তাহ কোয়ারান্টিনে ছিলেন তিনি। তারপর কোভিডের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করান। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু নার্স হিসাবে তিনি যে বাড়িতে কাজ করেন, সেখানে ফের যোগ দিতে গেলে তাঁকে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে বলে তিনি সেজন্য ওই হেলথ অফিসারকে বলেন, যদি তিনি ব্যবস্থা করে দেন। সার্টিফিকেট নিতে তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান হেলথ অফিসার। নিগৃহীতা মহিলার অভিযোগ অনুযায়ী, ৩ সেপ্টেম্বর তিনি হেলথ ইনস্পেক্টরের ফ্ল্যাটে যখন পৌঁছান, সেখানে আর কেউ ছিলেন না। তাঁকে ওই ফ্ল্যাটে গোটা একটা দিন আটকে রাখা হয়েছিল। হাত-পা বেঁধে রাতভর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন তিনি কোনওক্রমে বাড়িতে ফিরতে পারেন। শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হলে পুলিশকে বলে দেবেন যে, তিনি কোয়ারান্টিন ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন, এই বলে হেলথ অফিসার তাঁকে ভয় দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ নার্সের।
সার্কল ইনস্পেক্টর সুনীশ জানিয়েছেন, মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ সহ নানা ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্ব্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা জানিয়েছেন, ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। মহিলা কমিশনও মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে হাসপাতালে যাওয়ার পথে এক কোভিড রোগীকে ধর্ষণ করে অ্যাম্বুল্যান্সের চালক। নিগৃহীতার বয়স ১৯ বছর। ওই চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পর পর দু’টি ধর্ষণের জন্য পিনারাই বিজয়ন সরকারকে তোপ দেগেছে বিরোধী কংগ্রেস। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা বলেন, রাজ্যের জন্য এই দু'টি ঘটনা লজ্জার। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগে যে খামতি রয়েছে, পরপর এই দু'টি ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।