তিনটি বাচ্চা সুস্থ থাকলেও চতুর্থটি ভেন্টিলেশনে রয়েছে বলে জনিয়েছেন বিআরডি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ গণেশ কুমার। ২৬ বছর বয়সী ওই মা দেওরিয়া জেলার গৌরী বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি গত মঙ্গলবার রাতে মেডিকেল কলেজের ট্রমা সেন্টারে আসেন এবং টেস্টের পরে কোভিড পজিটিভ হিসাবে চিহ্নিত হন। হাসপাতালের ডাক্তার ও প্যারামেডিকেল সদস্যদের সাহায্যে্ তিনি বুধবার চারটি সন্তানের জন্ম দেন।
ডাক্তারদের মতে শিশু সম্তানগুলি সময়ের আগেই জন্ম নেওয়ার কারণে, তাদের ওজন ৯৮০ গ্রাম থেকে ১.৫ কিলোগ্রামের মত হয়েছে। কোনও শারীরিক ত্রুটি না থাকলেও, কিছুটা অপুষ্ট রয়েছে নবজাতকরা। মা তিনটি বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে সক্ষম হলেও, একটি বাচ্চা ভেন্টিলেশনে তুলনামূলক ভাবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। চিকিৎকদের ধারণা, বেশ কয়েক দিন তাকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হবে।
বিআরডি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের মতে এ রকম ঘটনা শুধু বিরলই নয়, চ্যালেঞ্জিংও বটে। মা ও সন্তানেরা আপাতত সুস্থ রয়েছেন। বাচ্চাগুলির স্যাম্পেল করোনা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে। মারণ ভাইরাসের পরিবেশে সুস্থতার খবরে বেশ খুশি গোরক্ষপুরের এই পরিবার।