নিউ দিল্লি : গত মাসে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। আর আজ COVID-19 ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিলেন বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে ভ্যাকসিন নেওয়ার একটি ছবি শেয়ার করে বিষয়টি জানিয়েছেন বিগ বি।


ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বচ্চন একটি সবুজ টি শার্ট এবং একটি কালো ট্র্যাক প্যান্ট পরে আছেন। আর মুখে কালো মাস্ক। ছবির ক্যাপশনে বিগ বি লিখেছেন, "দুসরা ভি হো গ্যায়া। কোভিড ওয়ালা, ক্রিকেট ওয়ালা নেহি। সরি সরি দ্যাট ওয়াজ রিয়েলি ব্যাড ওয়ান।"


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের থাবা থেকে বাদ যায়নি বলিউডও। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কঙ্গনা রানাওয়াত, আমির খান, ভিকি কৌশলের মতো ইন্ডাস্ট্রির নামীদামি তারকারা সংক্রমিত হয়েছেন। 


সম্প্রতি "দ্য ইন্টার্ন"-এর ভারতীয় সংস্করণে কাস্ট করা হয়েছে অমিতাভকে। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন দীপিকা পাডুকোণ। এছাড়াও তাঁর হাতে "ঝুণ্ড", "ব্রহ্মাস্ত্র", "গুডবাই" ও "মে ডে"-র মতো ছবি রয়েছে। 


এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে তীব্র অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সিনেমা ও ক্রীড়া জগতের ব্যক্তিত্বরা। পাশে দাঁড়িয়েছেন বিগ বি-ও। সম্প্রতি তিনি পোল্যান্ড থেকে ৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনেছেন। এবং বৃহন্মুম্বই পুরনিগম-কে ভেন্টিলেটর দিয়ে সাহায্য করেছেন। নিজের ব্লগে সেকথা জানান বচ্চন। লেখেন, "পোল্যান্ড সরকার, ওয়াকল-র মেয়র, ওয়ারশ-র ভারতীয় অ্যাম্বেসডর এবং LOT পোলিশ এয়ারলাইনকে ধন্যবাদ। বিভিন্ন জায়গা থেকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সাহায্য চেয়ে ফোন আসছিল। এইসব সংগ্রহ করা খুব কঠিন। যখন কোথাও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাচ্ছিলাম না, তখন আমার বন্ধু ওয়াকল-র ভারতীয় কনসাল আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। আমি কনসেনট্রেটর সংগ্রহ করছি বলে তিনি জানতে পেরেছিলেন। তাই পোল্যান্ডের একটি সংস্থার নাম ও বিবরণ জোগাড় করে দেন। জানান, এই সংস্থাটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরি করছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা পাঠাচ্ছে। এরা আমার প্রয়োজন মেটাতে পারে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই সংস্থাকে ৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের অর্ডার দিয়ে দিই।"


প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণ এখনও দৈনন্দিন ৩ লক্ষর বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৭০ জন। দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৭ জন। এই ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭৭ জনের। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ লক্ষ ৭০ হাজার ২৮৪।