নিউ দিল্লি : চিন থেকে ফিরে আসা এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। ৪০ বছরের ওই ব্যক্তি আগ্রার তাজনগরীর বাসিন্দা। গত ২৩ ডিসেম্বর চিন থেকে আগ্রার সাহাগঞ্জে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফেরার পর করোনা ভাইরাস (Corona Virus) পরীক্ষা করান একটি বেসরকারি ল্যাবে। আজ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তির বাড়িতে Rapid Response-এর দল মোতায়েন করা হয়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে আগ্রার চিফ মেডিক্যাল অফিসার অরুণ শ্রীবাস্তব জানান, অনেকেই বছরের শেষ দিকে ব্যবসার কারণে ভ্রমণ করেন। এইসব মানুষ ফিরে এলে তাঁদের মনিটর করা হবে।
এদিকে সংক্রমিত ব্যক্তির বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর সংস্পর্শে কেউ এসেছিলেন কি না le খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছ। সংক্রমিত ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে।
চিনে আতঙ্ক (Panic in China) ধরিয়েছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Covid New Variant) BF.7। কিন্তু, ভারতও কি একই রকম সমস্যায় পড়তে পারে ? এই প্রশ্নই কার্যত এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতীয়দের মনে। এব্যাপারে এবার আশ্বস্ত করলেন CSIR-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক। তাঁর মতে, BF.7 ভ্যারিয়েন্টের চিনে যে গুরুতর অবস্থা হয়েছে তা ভারতে হবে না। কারণ, ভারতীয়রা ইতিমধ্যেই হার্ড ইমিউনিটি গড়ে ফেলেছে।
তবে, কোভিড বিধি মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন CCMB-র অধিকর্তা বিনয় কে নন্দীকুরি। তিনি বলছেন, যে কোনও রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টগুলির। এমনকী যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদেরও সংক্রমিত করার ক্ষমতা রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি আরও বলেছেন, ডেল্টায় যে গুরুতর অবস্থা হয়েছিল, তার মতো পরিস্থিতি হবে না। কারণ, আমাদের হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। আমাদের হার্ড ইমিউনিটি আছে, কারণ আমরা অন্যান্য ভাইরাসের মুখে উন্মুক্ত রয়েছি। আমরা ডেল্টা ঢেউ দেখেছি, যেটা বিশাল ছিল। তারপরে আমরা টিকা নিই। তার পরে এল ওমিক্রন ঢেউ। আমরা বুস্টার ডোজ নিতে শুরু করি। আমরা একাধিক কারণে ভিন্ন। সেই কারণেই চিনে যা হয়েছে তা ভারতে হবে না।
আরও পড়ুন ; BF.7 ভ্যারিয়েন্টে কি চিনের মতো অবস্থা হতে পারে ভারতের ? যা বলছেন প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী...