পুণে : করোনা ভাইরাস রোধী নতুন মাস্ক নিয়ে এল পুণের কোম্পানি। এটি অ্যান্টি-ভাইরাল এজেন্টের স্তর সহ ৩-ডি প্রিন্ট মাস্ক। এই মাস্কের প্রস্তুতকারক সংস্থা Thincr Technologies।


কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন সমাধানের খোঁজ চলছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অংশ হিসাবে এই মাস্ক তৈরির কাজে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড(TDB)।
বাণিজ্যের লক্ষ্য নিয়ে ঠিক করা এটাই TDB-র প্রথম প্রোজেক্ট।


এই মাস্কের স্তর তৈরির জন্য Merck Life Sciences' Nerul ফেসিলিটির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে Thincr। ফেব্রিক থেকে তৈরি করা হয়েছে ৩-প্লাই মাস্ক। এটা এন-৯৫, ৩-প্লাই, কাপড়ের মাস্ক, ৩ডি প্রিন্টেড বা অন্য প্লাস্টিক আচ্ছাদিত মাস্কের উপর অতিরিক্ত স্তর হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এইসব মাস্কের উন্নীতকরণ হয়েছে ৩-ডি প্রিন্টের মাধ্যমে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাস্কের কোটিং(স্তর) পরীক্ষা করা দেখা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে SARS-CoV-2 ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে এই স্তর। মাস্কের উপর কোটিং তৈরির জন্য সোডিয়াম অলিফিন সালফোনেট নির্ভর মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে। এই উপাদান সাবান তৈরির কাজে লাগে। ঘরের তাপমাত্রাতেও এই উপাদান স্থিতিশীল এবং এই উপাদান প্রসাধনী ক্ষেত্রে বৃহৎ আকারে ব্যবহার করা হয়।


Thincr Technologies-এর প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা শীতলকুমার জাম্বাদ। তিনি বলেছেন, এই মাস্কের ব্যাক্টেরিয়া পরিস্রুত করার ক্ষমতা ৯৫ শতাংশের বেশি। এই অ্যান্টি-ভাইরাল মাস্কের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এমনকী এর স্বত্বের জন্যও আবেদন করা হয়েছে।


এপর্যন্ত নন্দুরবার, নাসিক এবং বেঙ্গালুরুতে চারটি সরকারি হাসপাতালে ৬ হাজার ভাইরুসিডাল মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য এই মাস্কগুলি বিতরণ করেছে একটি এনজিও। এছাড়া বেঙ্গালুরু গার্লস স্কুল ও কলেজেও ব্যবহারের জন্য বিলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। 


প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহারের কথা বার বার বলে আসছে সরকার।