সুনীত হালদার, হাওড়া : ভ্যাকসিন নিয়েছেন। অথচ আসছে না মেসেজ। এরকমই ঘটনা ঘটেছে হাওড়া শহরে। একশো জনের বেশি ভ্যাকসিন গ্রহীতার ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রত্যেকেই রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। কারণ, কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের ক্ষেত্রেও ঘটেছিল এরকম ঘটনা। ভ্যাকসিন নিলেও আসেনি মেসেজ। এই পরিস্থিতিতে হাওড়ার ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


হাওড়া ময়দানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাওড়া শাখার অফিসে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছিল মাস দুয়েক আগে থেকে। বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছিল কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এই স্বেচ্ছাসেবী সংঠনের মাধ্যমে মূলত তাদেরই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল যাদের থেকে সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে অর্থাৎ সুপার স্প্রেডারদের। তাছাড়া সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছিল ভ্যাকসিন। 


এক শ্রেণির ভ্যাকসিন গ্রহীতার অভিযোগ, তাঁরা ওই সংস্থা থেকে ভ্যাকসিন নিলেও তাঁদের মেসেজ আসছে না। রুমা সোম নামে এক মহিলা জানান, গত 7 জুন তিনি কোভ্যাকসিন নিয়েছেন সেখান থেকে। স্পট রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। কিন্তু, এতদিন কেটে গেলেও আসেনি মেসেজ।


একই সমস্যা সুজয় সোম নামে এক ব্যক্তির পরিবারে। তিনি জানান, তাঁর বউদি ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ওই সংস্থা থেকে। বারবার যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। ফলে, তাঁরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আদৌ ঠিক ভ্যাকসিন নিয়েছেন নাকি অন্য কোনও সমস্যা হয়েছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। দ্বিতীয় ডোজের সময় তাঁরা পাবেন কি না সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। 


ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাওড়া শাখার সম্পাদক ডঃ সুজয় চক্রবর্তী এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ, তাঁরা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে তা দিয়েছেন। এখানে প্রতিদিন প্রায় পাঁচশোর বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সংখ্যাটা বেশি হওয়ায় হয়ত কোনও টেকনিক্যাল প্রবলেম হয়েছে। তবে যাঁরা মেসেজ পাননি তাঁরা যোগাযোগ করলে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে।